বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | নরসিংদি | শিরোনাম » স্ত্রীকে ‘হত্যার’ পর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালালেন স্বামী
স্ত্রীকে ‘হত্যার’ পর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালালেন স্বামী
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে বর্ষা বেগম (১৮) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী পলাতক রয়েছেন।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভার ভাঙ্গালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বর্ষা বেগম পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের চরখোপি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। তার স্বামী অন্তর সরকার একই উপজেলার ভাঙ্গাল পাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত বর্ষা ও অন্তর দুজনেই স্থানীয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করতেন। গত সাত মাস আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক ও ব্যক্তিগত একাধিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকতো।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) রাতে কাজ শেষ করে বুধবার সকালে স্বামী-স্ত্রী দুজনই এক সাথে বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফেরার কিছুক্ষণ পরই তাদের মধ্যে অজ্ঞাত বিষয় নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে তা কলহে রূপ নেয় এবং স্বামী অন্তর বর্ষাকে মারধর ও শ্বাসরোধ করেন। এ সময় স্ত্রী বর্ষা নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান অন্তর। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বর্ষাকে মৃত ঘোষণা করলে স্বামী অন্তর সরকার স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখেই পালিয়ে যায়।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি।