বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা: আশিষ রায় আটক
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা: আশিষ রায় আটক
দীর্ঘ ২৪ বছর পূর্বের চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার পলাতক ও চার্জশিটভুক্ত ১নং আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে আটক করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। র্যাবের এক কর্মকর্তা সময় নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে তিনি জানান।
এর আগে রাতে আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেফতারে গুলশানের একটি বাসা ঘিরে রাখে র্যাব সদস্যরা।
গুলশান এক নম্বর সেকশনের ওই বাসা থেকে ২৩ বোতল বিদেশি মদ, কয়েক ক্যান বিয়ার উদ্ধারের কথাও জানিয়েছে র্যাব।
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ক্লাব ট্রামসের নিচে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। গোয়েন্দা পুলিশ ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।
অভিযোগপত্রে আসামির তালিকায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের নামও ছিল। অন্য আসামিরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আশীষ চৌধুরী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন, আদনান সিদ্দিকী, তারিক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ও ফারুক আব্বাসী।
এই মামলায় আশীষ চৌধুরী শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানাও ছিল।
গত ২০ মার্চ আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত অন্য দুই আসামি হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান।
এ মামলায় ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এ অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগ গঠনের পর আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট রুল ডিসচার্জ (খারিজ) করেন এবং এর আগে দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রায় দেন।
আশীষ রায় চৌধুরী দেশের একাধিক বেসরকারি বিমান পরিচালনা সংস্থায় ঊর্ধ্বতন পদে কর্মরত ছিলেন।