বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » আশিষকে নেওয়া হচ্ছে র্যাব সদর দফতরে
আশিষকে নেওয়া হচ্ছে র্যাব সদর দফতরে
আলোচিত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত ১ নম্বর আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হচ্ছে র্যাব সদর দফতরে।
মঙ্গলবার ( ৫ এপ্রিল) রাত ১১ টা ৫০ মিনিটের দিকে তাকে গুলশান-২ এর বাসা থেকে র্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বাংলানিউজকে বলেন, গ্রেফতারের পর আসামি আশিষ রায় চৌধুরীকে র্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপর তাকে এই হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলশানের ২৫/বি ফিরোজা গার্ডেন নামে একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতারের আগে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে র্যাবের অভিযানিক দল গুলশানের ওই বাসাটি ঘেরাও করে ফেলে। অভিযানে তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণে বিদেশি মদ, বিয়ার ও সিসা জব্দ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদি হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেলকে হত্যা করা হয়।
আশীষ রায় চৌধুরী ও আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল কাশেম ব্যাপারী ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
গ্রেফতার আসামি আশীষ রায় চৌধুরী নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার প্রধান আসামি। তিনি একাধিক বেসরকারি এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন পদে ছিলেন। সর্বশেষ তিনি জিএমজি এয়ারলাইনসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) ছিলেন।