মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » কর্ণফুলী টানেলে ত্রুটিপূর্ণ কাজের অভিযোগ
কর্ণফুলী টানেলে ত্রুটিপূর্ণ কাজের অভিযোগ
সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামে পতেঙ্গার সমুদ্রসৈকতের ওয়েস্ট পয়েন্টে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ প্রান্তে।
উদ্বোধনের পর্যায়ে এসে অভিযোগ উঠেছে ত্রুটিপূর্ণ কাজের। পতেঙ্গা থেকে নেভাল একাডেমির দক্ষিণ পশ্চিম কোণের রেডকিন চত্বর পর্যন্ত ১ হাজার ১০০ মিটার পর্যন্ত কোনো বাঁধ নেই। ওয়েস্ট পয়েন্টসহ পুরো এলাকাটি রয়েছে উন্মুক্ত। বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাসে মোহনার এই অংশ দিয়ে পানি ঢুকে কর্ণফুলী টানেল প্লাবিত হতে পারে। এতে বড় ধরনের বিপর্যয় হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অবশ্য প্রকল্প পরিচালকের দাবি, ফ্লাডগেইট থাকায় টানেলে পানি ঢোকার কোনো সুযোগ নেই। ওয়েস্ট পয়েন্টটি বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাসে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে সিডিএ বলছে, আউটার রিং রোডের বাঁধের আদলে দেয়াল নির্মাণ করা হবে।
এ ব্যাপারে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) অধ্যাপক প্রকৌশলী মাহমুদ ওমর ইমাম বলেন, জলোচ্ছ্বাস হলে গেট বন্ধ করে দিতে হবে যেন পানি না ঢোকে। এমন কিছু ব্যবস্থা থাকতে হবে; না হলে এটা অনেক রিস্কি হয়ে যাবে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এটা মানুষ ব্যবহার করতে চাইবে না। জলোচ্ছ্বাসের জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকতে হবে। এ ছাড়া টানেলের ভেতরে কিছু পাম্পিং ব্যবস্থা থাকতেই হবে। পানি ঢুকে গেলে বের করার ব্যবস্থা যদি না থাকে, তাহলে বুঝতে হবে এটার ফলটি ডিজাইন।
তবে প্রকল্প পরিচালকের দাবি, ফ্লাড গেট দেওয়া আছে তাই টানেলে পানি প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ।
তিনি জানান, ২০০ বছর ও ১০০ বছরে যদি এ রকম একদম রিংরোড যদি ওপর দিক থেকে পানি আসে তাহলে এখানে ঢোকার জন্য তো ফ্লাট গেট আছে; ঢুকতে পারবে না। এ ছাড়া আমাদের টানেলের মুখ সেখানে না।
জলোচ্ছ্বাসের কথা মাথায় রেখে নির্মাণ করা হয়েছে পতেঙ্গার আউটার রিং রোড। সেই সঙ্গে দেওয়া হয়েছে বাঁধও। তবে ঘূর্ণিঝড় কিংবা জলোচ্ছ্বাস হলে ওয়েস্ট পয়েন্টটি ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস জানান, ওয়েস্ট পয়েন্টের খালি অংশে নতুন একটি দেওয়াল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এটা যে উচ্চতায় করেছি ওই প্রটেকশনে ও ওই ডিজাইনে আমরা বাকি কাজ করব। ওয়ালও করব ও স্লো পলিউশনের ব্যবস্থা নেব। এখানে কিছু ল্যান্ড রিক্লেন ও করব। এমন একটা প্রস্তাবনাও আমরা সরকারের কাছে পাঠাব।
১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের সময় ১০ থেকে ৩০ ফুট এবং ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের ১২ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল।