বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আইন আদালত | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » কারাগার ও থানায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর নির্দেশ হাইকোর্টের
কারাগার ও থানায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর নির্দেশ হাইকোর্টের
দেশের সকল থানা ও কারাগারে প্রকৃত কয়েদী শনাক্তে আঙ্গুল ও তালুর ছাপ এবং চোখের মণি স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক ডাটা পদ্ধতি চালুর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট রিটের প্রেক্ষিতে জারি করা রুলের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত তার রায়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ৩টি নির্দেশনা দিয়েছেন। এগুলো হলো- বিদ্যমান ব্যবস্থার সঙ্গে সব থানায় আসামির হাতের আঙ্গুল ও তালুর ছাপ, চোখের মণি স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির প্রচলন, গ্রেপ্তারের পর আসামির সম্পূর্ণ মুখের ছবি (Mugsgot photographs) ধারণ ও কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে (integrated) সংরক্ষণ এবং দেশের সব কারাগারে আঙ্গুল ও হাতের তালুর ছাপ, চোখের মণির সংরক্ষণের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ সিস্টেম চালু করা।
পাশাপাশি এ মামলার ভুল আসামি জহির উদ্দীনের বিরুদ্ধে জারিকৃত পরোয়ানা অবৈধ এবং আইন বহির্ভূত ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে এক আবেদনের শুনানি জহির উদ্দীন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে জারিকৃত পরোয়ানার বিরুদ্ধে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি গত ২৮ জুন দেশের সব জেলখানায় কয়েদিদের শনাক্তে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও আইরিশ স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক ডাটা পদ্ধতি চালু করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত একটি আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমানের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব ও কারা মহা-পরিদর্শককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে।