বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » মহামারী-উত্তর অর্থনীতি পুনর্গঠনে নতুন অঙ্গীকারের আহ্বান মোমেনের
মহামারী-উত্তর অর্থনীতি পুনর্গঠনে নতুন অঙ্গীকারের আহ্বান মোমেনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন মহামারী-উত্তর অর্থনীতি পুনর্গঠনে সকল অংশীজনকে নতুন অঙ্গীকার ও অংশীদারিত্বের আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের শান্তির সংস্কৃতি বিষয়ক ন্যাশনাল হাই-লেভেল ফোরামে বক্তব্য রাখার সময় মোমেন বলেন, ‘মহামারী থেকে আমাদের পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার একটি অপরিহার্য উপাদান হতে হবে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, যেখানে আমরা জাতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই অর্থপূর্ণভাবে আমাদের পুনর্গঠনে প্রচেষ্টায় অবদান রাখতে পারবো।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোভিড-পরবর্তী সময় আরও ভালভাবে পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় শান্তির সংস্কৃতির কোনো বিকল্প নেই।
শান্তির সংস্কৃতির বিষয়ে এই বছরের উচ্চ পর্যায়ের ফোরামে কোভিড-পরবর্তী পুনরুদ্ধারে অন্তর্ভুক্তি ও ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ উদ্বুদ্ধকরণে শান্তির সংস্কৃতির রূপান্তরকারী ভূমিকার ওপর মনোনিবেশ করা দিনব্যাপী ইভেন্টে একটি উদ্বোধনী অধিবেশন, একটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন ও একটি ভার্চুয়াল প্যানেল আলোচনা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ড. মোমেন ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের শান্তির সংস্কৃতি সম্পর্কিত প্রস্তাব গ্রহণে এবং ২০১২ থেকে উচ্চ পর্যায়ের ফোরামের আয়োজনে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি, জাতিসংঘ অ্যালায়েন্স অব সিভিলাইজেশনের উচ্চ প্রতিনিধি, জাতিসংঘ মহাসচিবের শেফ ডি কেবিনেট এবং ইউনেস্কোর প্রতিনিধি অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন।
কোভিড থেকে সুদৃঢ় পুনরুদ্ধারে শান্তির পরিবেশ তৈরির প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সমস্ত মহামারী পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় শান্তির সংস্কৃতিকে মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি শান্তি ও উন্নয়নের মধ্যে সুদৃঢ় সম্পর্ক তুলে ধরে এ প্রসঙ্গে এজেন্ডা ২০৩০-এর সময়োপযোগী বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহামারী থেকে সফল পনুরুদ্ধারের জন্য সার্বজনীন টিকা নিশ্চিত করা আবশ্যক।
তিনি দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভ্যাকসিনের জাতীয়করণের কথা উল্লেখ করে বিশ্বকে এই ধরনের ভ্যাকসিন অসমতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘এখন উন্নয়ন সহযোগীদের আরও মানবিক হওয়ার এবং যাদের প্রাপ্য তাদের বৈষম্যহীনভাবে সাহায্য করার উপযুক্ত সময়। ভ্যাকসিন সর্বসাধারণের দ্রব্য হওয়া উচিত।’
পরে বিকেলে একটি ভার্চুয়াল প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল কে চৌধুরীর সঞ্চালনায় নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলো এবং সাবেক আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল এবং জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি এতে যুক্ত হন।
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত ফাতেমা প্যানেল আলোচকদের অন্যতম প্যানেলিস্ট হিসাবে এতে অংশগ্রহণ করেন।