বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদের আত্মদানের বিষয়টি আজ গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদের আত্মদানের বিষয়টি আজ গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদের আত্মদানের বিষয়টি আজ গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত। গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক দেশব্যাপী পরিচালিত জরিপ ও গবেষণা কার্যক্রমে ৩৪টি জেলায় ১৭,২৮৬ টি গণহত্যা, গণকবর, বধ্যভূমি ও নির্যাতন কেন্দ্র সনাক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি গণহত্যায় যদি কম করে একশত মানুষও হত্যা করা হয়ে থাকে, তাহলে ৬৪টি জেলায় জরিপ কার্যক্রম শেষ হলে সংখ্যাটি ৩০ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণহত্যার সংখ্যাতাত্ত্বিক যে বিতর্ক রযেছে তার অবসান ঘটবে। যারা বলে ৩০ লক্ষ শহিদের আত্মদানের বিষয়টি সঠিক নয়, তাদেরকে নিন্দা জানানোর ভাষা নেই।
প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের ৫০ বছরের পথচলা: গণহত্যা, জাতিরাষ্ট্র এবং বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশার বাংলাদেশ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী (৩১ মার্চ-০১ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে এ বঙ্গভূমি বাংলাদেশ কোনকালে কোন বঙ্গসন্তান তথা বাঙালি শাসন করতে পারেনি। বিভিন্ন সময়ে মোগল,পর্তুগীজ, ব্রিটিশ, বর্গীদের দ্বারা বাংলা নামক এ ভূখণ্ড শাসিত-শোষিত হয়েছে। তিতুমীর, সূর্যসেন, প্রীতিলতা, ক্ষুদিরাম প্রমুখ স্বাধীনতা সংগ্রামী বীর বিপ্লবীরা এদেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতার জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করেছেন, নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। কিন্তু তারা কেউ সেই কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা এনে দিতে পারেননি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই প্রথম বাঙালি যাঁর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি সেই কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করে। তিনিই প্রথম বাঙালি যিনি বাংলাদেশ শাসন করেছেন।
গণহত্যা জাদুঘরের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে “বঙ্গবন্ধুর গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র” শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন লে. কর্ণেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রখ্যাত সাংবাদিক মানস ঘোষ।
উল্লেখ্য, মোট ৪টি একাডেমিক অধিবেশনে এ আন্তর্জাতিক সেমিনারে কানাডা, নিউজিল্যান্ড, তুরস্ক, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের প্রায় ২৫ জন বিশেষজ্ঞ গবেষক অংশ নিয়ে বাংলাদেশ, গণহত্যা ও বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।