মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য | ছবি গ্যালারী | মানিকগঞ্জ | শিরোনাম » পেঁয়াজ আমদানিতে দাম কমেছে, লোকসানে কৃষক
পেঁয়াজ আমদানিতে দাম কমেছে, লোকসানে কৃষক
মানিকগঞ্জে পেঁয়াজের দাম পড়ে গেছে। জেলার সবচেয়ে বড় হাট বরংগাইলে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭ থেকে ২২ টাকায়। এতে কৃষকদের লোকাসান গুনতে হচ্ছে। উৎপাদন মৌসুমে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির কারণেই এ দরপতন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
মানিকগঞ্জের বরংগাইল হাটে সকাল থেকেই পেঁয়াজ নিয়ে আসেন কৃষকরা। বাজারে মণপ্রতি ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। দাম কম হওয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছেন না।
কৃষকরা জানান, চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে ৩২ থেকে ৩৪ টাকা খরচ হয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রতি মণ পেঁয়াজ ১ হাজার ৮০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা বিক্রি হলেও বিদেশি পেঁয়াজ আমদানিতে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়া উৎপাদন খরচও না ওঠার দাবি করে কৃষকরা বলেন, যদি পেঁয়াজের দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা মণ থাকে, তাহলে বাংলাদেশের কৃষক বাঁচবে না। সরকারের পেঁয়াজ আমদানি করায় আমরা পেঁয়াজের দাম একদমই পাচ্ছি না।
মার্চ থেকে জুন মাস পেঁয়াজের ভরা মৌসুম। তাই এ সময় বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে ক্ষুব্ধ আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের বরংগাইল আড়ত সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দীকুর রহমান বলেন, বাজারে কৃষকরা পেঁয়াজের দাম পাচ্ছেন না। আমরা সরকারকে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করার অনুরোধ করছি।
উল্লেখ্য, জেলার ৬ হাজার হেক্টর জমিতে চলতি বছর ৮০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে।