৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে কানাডা
১৯৮৬-র বিশ্বকাপ পরিচিত ম্যারাডোনার বিশ্বকাপ হিসেবে। সেই বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা যা কিছু করেছেন, তা আজ ফুটবল রূপকথার অংশ। ৮৬-র বিশ্বকাপ আর্জেন্টাইনদের স্মৃতিতে সজীব তাদের দ্বিতীয় ও সবশেষ বিশ্বকাপ জয়ের আসর হিসেবে। তবে সেই আসর স্মরণীয় কানাডিয়ানদের জন্যও। কারণ, সেবারই যে শেষবারের মতো গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে খেলতে দেখা গিয়েছিল কানাডিয়ানদের। অবশেষে আবার তাদের আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিয়েছে ফুটবল। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের মূলমঞ্চে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে আলফনসো ডাভিস, জোনাথন ডাভিডদের কানাডা।
উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডার বিশ্বকাপে খেলা একরকম নিশ্চিতই ছিল এবার। কনক্যাকাফ অঞ্চলের বাছাইপর্বের শীর্ষে থাকা কানাডাকে নিয়ে যা একটু সন্দেহ ছিল, তা আসলে গাণিতিক মারপ্যাঁচের হিসাব। তবে জন হার্ডম্যানের শিষ্যরা গণিতের মারপ্যাঁচটুকুও দূর করে দিয়েছে কাল। কনক্যাকাফ অঞ্চলের বাছাইপর্বের ম্যাচে জ্যামাইকার বিপক্ষে ৪-০ গোলে জয় পেয়েছে কানাডা। তাতে ১৯৮৬ সালের পর আর কোনো বাধা রইল না বিশ্বকাপে খেলার।
জ্যামাইকার সঙ্গে ম্যাচে নিরঙ্কুশ ফেভারিট ছিল কানাডাই। উত্তর ও মধ্য আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে এই ম্যাচের আগেই কমপক্ষে প্লে-অফে খেলাটা নিশ্চিতই ছিল কানাডার। তবে বিশ্বকাপে খেলার জন্য হিসাবের মারপ্যাঁচে ভরসা করতে ইচ্ছুক ছিল না কানাডিয়ানরা। তাই বাছাইপর্বের পয়েন্ট তালিকার সাতে থাকা জ্যামাইকাকে ম্যাচে দাঁড়াতেই দেননি ডাভিডরা।
এই ম্যাচে গোল পেয়ে কনক্যাকাফ অঞ্চলের বাছাইপর্বের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন কাইল লারিন। ৬ গোল নিয়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন লিলেতে খেলা স্বদেশি ফরোয়ার্ড জোনাথন ডাভিডকে।
এবারের বাছাইপর্বের শুরু থেকেই উড়ছিল কানাডা। বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ড থেকেই শীর্ষে ছিল তারা। আট দলের গ্রুপে তাদের কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। কিন্তু এই দুই দলের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে ৪ পয়েন্ট আদায় করে নিয়েছিল তারা। গোটা বাছাইপর্বের ষষ্ঠ রাউন্ড পর্যন্ত অপরাজিত ছিল কানাডা। সপ্তম রাউন্ডে এসে অপ্রত্যাশিতভাবে কোস্টারিকার সঙ্গে হেরে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো তাদের।
এর আগে ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে খেলা কানাডার জন্য সে আসর ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। ৩৬ বছর পর পাওয়া সুযোগ অবশ্যই রাঙিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন ডাভিস-ডাভিডরা।