শনিবার, ২৬ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | টাঙ্গাইল | শিরোনাম » এতিম বলে গালি দেওয়ায় স্কুলছাত্রকে গলা কেটে হত্যা!
এতিম বলে গালি দেওয়ায় স্কুলছাত্রকে গলা কেটে হত্যা!
এতিম বলে গালি দেওয়ায় টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে স্কুলছাত্র রাহাতকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মূল আসামি বিপ্লবকে আটক করেছে র্যাব।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাতে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে কালিহাতী থেকে বিপ্লবকে আটক করে টাঙ্গাইল র্যাব-১২ সিপিসি-৩-এর সদস্যরা। এরপর হত্যার দায় স্বীকার করলে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হয়। আটককৃত বিপ্লব বানিয়ারা গ্রামের নুবু মিয়ার ছেলে।
এর আগে বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের কাগুজিপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রাহাত বানিয়ারা গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে। সে বল্লা করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
সিপিসি-৩ র্যাব-১২-এর কোম্পানি কমান্ডার মো. এরশাদুর রহমান জানান, রাহাত ও বিপ্লব দুই বন্ধু। তাদের বাড়িও পাশাপাশি। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাতে বিপ্লব ও রাহাত কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের কাগুজিপাড়া বাজারে বসে লুডু খেলে। খেলার সময় বিপ্লবকে কয়েকবার রাহাত এতিম বলে গালি দেয়। এ কারণে রাহাতের ওপর বিপ্লব ক্ষিপ্ত হয় এবং রাহাতকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে বিপ্লব বাজারের একটি দোকান থেকে ব্লেড ও সিগারেট কেনে। এরপর বিপ্লব সিগারেট খাওয়ার কথা বলে রাহাতকে কাগুজিপাড়া এলাকার একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে যায়। সিগারেট খাওয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিপ্লব ব্লেড দিয়ে রাহাতের গলায় পোঁচ দেয়।
তিনি জানান, এ সময় রাহাত চিৎকার দিলে বিপ্লব মুখ চেপে ধরে আরও কয়েকবার পোঁচ দেয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে কাদার মধ্যে রাহাতের মুখ চেপে ধরে। রাহাতের মৃত্যু হওয়ার পর মরদেহ পুকুরে ফেলে দিয়ে তার মোবাইল নিয়ে বাড়িতে চলে যায় বিপ্লব। বাড়িতে গিয়ে বিপ্লব গোসল করে এবং তার রক্তমাখা জামাকাপড় ধুয়ে ফেলে।
‘কালিহাতী থেকে বিপ্লবকে আটক করার পর র্যাবের কাছে সে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে হত্যার বর্ণনা দেয়। পরে বিপ্লবের ঘর থেকে তার জামাকাপড় ও নিহত রাহাতের মোবাইল উদ্ধার করা হয়।’
বিপ্লবকে টাঙ্গাইল মডেল থানা হেফাজতে রাখার পর আদালতে জবানবন্দির জন্য পাঠানো হবে বলেও জানান র্যাব কমান্ডার।