শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | শরীয়তপুর | শিরোনাম » শরীয়তপুরে পদ্মার তীরে ‘জয় বাংলা এভিনিউ’ : উদ্বোধন আগামীকাল
শরীয়তপুরে পদ্মার তীরে ‘জয় বাংলা এভিনিউ’ : উদ্বোধন আগামীকাল
আগামীকাল ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে শরীয়তপুরের নড়িয়ার পদ্মার তীরে সুরেশ্বর থেকে মোক্তারেরচর পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে ‘জয় বাংলা এভিনিউ’ এর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।
নড়িয়ায় ‘জয় বাংলা এভিনিউ’ উদ্বোধনের জন্য এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধের ওপর তৈরি করা হয়েছে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পাকা সড়ক। যার নামকরণ করা হয়েছে ‘জয় বাংলা এভিনিউ, নড়িয়া’। জয় বাংলা এভিনিউটি এখন পর্যটনের এক বিশেষ এলাকা।
পর্যটকদের সুবিধার্থে সড়কের পাশে তৈরি হয়েছে বিশ্রামাগার। থাকছে প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থাও। রাতে জয় বাংলা এভিনিউ থাকবে সোডিয়াম লাইটে আলোকিত।
১ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান শরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের অধীনেই নির্মাণ হচ্ছে ৮ কিলোমিটার পায়ে হাঁটার এই পাকা সড়ক।
স্থানীয়রা জানান, শুধু ২০১৮ সালেই এসব এলাকায় সাড়ে ছয় হাজার পরিবার নদীভাঙনের শিকার হয়। নদীগর্ভে বিলীন হয় পাকা ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, হাট-বাজার, গাছপালা, ফসলি জমি, মসজিদ-মন্দির, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান। সেই জায়গায় এখন ভাঙন রোধ হয়ে গড়ে উঠেছে মানুষের নিরাপদ আবাসস্থল। আর পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধ যেন এখন পর্যটন নগরী। প্রতিদিনই শত শত লোক নদীর পাড়ে ঘুরতে আসছেন।
কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন দেওয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় এমপি এনামুল হক শামীমের কল্যাণেই এখানকার মানুষ নদীভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছে। এনামুল হক শামীম ২০১৮ সালের আগে এমপি-মন্ত্রী না হয়েও ৫০ বছরের নদীভাঙন কবলিত এলাকাকে রক্ষার করার জন্য বারবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছুটে গিয়েছিলেন বলেই আমরা এখন নিরাপদে বসবাস করতে পারছি।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, এখন নড়িয়া নদীভাঙনের ঝুঁকিমুক্ত। এটা একটা পর্যটন এলাকায় রূপ নিয়েছে। নড়িয়া উপজেলার পদ্মার ডান তীরকে আমরা ‘জয় বাংলা এভিনিউ, নড়িয়া‘ নামকরণ করেছি। স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়ার মধ্য দিয়ে জাতীয় শ্লোগানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এ সড়ক উদ্বোধন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশমতো কাজ করায় সারাদেশে নদীভাঙন কমে এসেছে।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন,আমি নিজেও নদীভাঙন এলাকার মানুষ। নদীভাঙনের শিকার মানুষের কষ্টটা আমি বুঝি। দীর্ঘ ৫০ বছরের ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এলাকার মানুষকে নদীভাঙন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুধু আমার নির্বাচনী এলাকাই নয়, শরীয়তপুর জেলাসহ সারাদেশেই নদীভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নদীর বুকে যেন আর কোনো ঘরবাড়ি বিলীন না হয়, আমরা সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি।