শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » নেইমারদের জ্বলে ওঠার দিনে উড়ে গেল চিলি
নেইমারদের জ্বলে ওঠার দিনে উড়ে গেল চিলি
আরও একবার অপ্রতিরোধ্য সেই ব্রাজিলকে দেখা গেল। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে চিলির বিপক্ষে ৪-০ গোলের দাপুটে জয় পেয়েছে নেইমাররা। এ নিয়ে টানা ১৬ ম্যাচ অপরাজিত সেলেকাওরা। ১৩ জয় আর ৩ ড্রয়ে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। যেখানে দুয়ে থাকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ৩৫।
লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়েছে আগেই, তবে সবশেষ কয়েকটি ম্যাচে দলের সেরা তারকাদের ইনজুরিতে ঠিক যেন ছন্দে ছিল না ফুটবল পরাশক্তিরা। তবে চিলির বিপক্ষে আবারও সেই দাপুটে ব্রাজিলকেই দেখা গেল। ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেই জ্বলে উঠলেন নেইমার, গোলের দেখা পেলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, ফিলিপে কৌতিনিয়োরাও।
রিও ডি জেনেরিওর ঘরের মাঠে ম্যাচের ৫৮ শতাংশ সময় বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে সেলেকাওরা। গোলমুখে তারা শট নেয় ১৮টি, যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৯টি। ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল নেইমারদের।
ম্যাচের প্রথম মিনিটেই অ্যান্তোনির নেওয়া শট আটকে দেন চিলি গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো। এরপর পাল্টা আক্রমণে কিছুটা দাপট দেখায় সফরকারী চিলিও। ২১ তম মিনিটে চিলির সানচেজের বল অল্পের জন্য লক্ষ্যভেদ করেনি। গোলবারের ওপর দিয়ে যায়।
আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের ম্যাচে প্রধমার্ধের হুইসেল বাজার ঠিক চার মিনিট আগে অর্থাৎ ৪১ তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে লিড এনে দেন দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা নেইমার। নেইমারের পর প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান আরও বাড়ান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। চোখজুড়ানো শটে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে পাঠান।
বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করতে ম্যাচটা জয়ের বিকল্প ছিল না চিলির সামনে। আর তাই প্রথমার্ধেই জোড়া গোলে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে আরও মরিয়া হয়ে উঠে লা রোজারা। তবে শেষপর্যন্ত ব্যবধান কমাতে পারেনি তারা।
চিলির ম্যাচ মানেই যেন ফাউলের সমাহার। ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচেও তেমনটিই দেখা গেল। প্রথমার্ধে নেইমারকে ফাউল করে বড় খেসারত দিতে হয়েছে। তারপর ম্যাচের ৬৯ তম মিনিটে চিলি গোলরক্ষক কর্তৃক ডি বক্সে আবারও ফাউল। এবারও পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। যদিও এ নিয়ে উত্তেজনা কম হয়নি। তর্কাতর্কি করে দুই দলের বেশ কয়েকজন হলুদ কার্ড দেখেন। পরে স্পট কিক থেকে গোল করেন কৌতিনিয়ো।
নেইমারের গোলে শুরু, মাঝে ভিনিসিয়াস জুনিয়র এরপর কৌতিনিয়ো। আর শেষমেশ এক হালি পূর্ণ করেন রিচার্লিসন।