শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১
N2N Online TV
শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ইতালির হৃদয় ভাঙা কে এই ত্রাজকোভস্কি
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ইতালির হৃদয় ভাঙা কে এই ত্রাজকোভস্কি
১২২ বার পঠিত
শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ইতালির হৃদয় ভাঙা কে এই ত্রাজকোভস্কি

---

চাইলেই নির্দ্বিধায় ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আপসেট বলতে পারেন এটাকে। চারবারের বিশ্বকাপজয়ী দল, সবশেষ ইউরোর ট্রফিটাও যাদের কাছে সেই ইতালি ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের পর কাতারেও থাকছে না।

সমীকরণটা কঠিন ছিল। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইউরোপ অঞ্চলের প্লে–অফ সেমিফাইনালে উত্তর মেসিডোনিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে পর্তুগাল অথবা তুরস্ককে হারাতে হতো ইতালিকে। তবে সেই যাত্রার প্রথম বাঁধাতেই আটকা পড়ল আজ্জুরিরা। উত্তর মেসিডোনিয়ার কাছেই ০-১ গোলে হেরে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না দোন্নারুম্মা-ইম্মোবিলেদের।

অথচ এ ম্যাচের আগে তিন বারের দেখায় কখনো হারেনি ইতালি। কে ভেবেছিল এমন কিছুও দেখতে হবে। পুরো ম্যাচ জুড়ে খেলল ইতালি। একের পর এক আক্রমণ করে গেল, তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেল না। মেসিডোনিয়ার গোল পোস্ট লক্ষ্য করে ৩২টা শট করেছিল ইতালির খেলোয়াড়রা। তবে অন টার্গেট শট ছিল মাত্র পাঁচটি।

অন্যদিকে ইতালির গোল পোস্ট লক্ষ্য করে মেসিডোনিয়া শট করেছিল মাত্র ৪টি। আর তাতেই একটি গোল আদায় করে নেয় কখনো বিশ্বকাপ না খেলা ছোট্ট দেশটি।

যখন ভাবা হচ্ছিল ম্যাচটা হয়তো অতিরিক্ত আরও ত্রিশ মিনিট খেলা হবে। তখনই ঘটে অঘটন। ম্যাচের ৯২তম মিনিটে সবাইকে চমকে দিলেন অচেনা আলেকসান্ডার ত্রাজকোভস্কি। তার গোল দলকে শুধু প্লে–অফের ফাইনালেই নিয়ে গেল না, সঙ্গে বিশ্বকাপ থেকে মাত্র এক কদম দূরত্বে নিয়ে আসল দলকে। তাই ম্যাচ শেষে তাদের উল্লাসটা একটু বেশিই দেখা গেল। তবে এখনও বিশ্বকাপের মূল পর্বে উঠতে হলে আরেকটি কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে ইউরোপের ছোট্ট দেশটির। কারণ ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ রোনালদোর পর্তুগাল।

কে এই আলেকসান্ডার ত্রাজকোভস্কি?
ইতালির হৃদয়ভাঙা কে এই আলেকসান্ডার ত্রাজকোভস্কি। বৃহস্পতিবার রাতের অঘটনের পর এখন বিশ্বজুড়ে এমন প্রশ্নই শোনা যাচ্ছে।

২৯ বছর বয়সী ত্রাজকোভস্কি উত্তর মেসিডোনিয়ার অন্যতম বড় ফুটবল তারকা। এখন পর্যন্ত ৭৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে করেছেন ২০টি গোল। যা দেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও বটে। এ তালিকায় শীর্ষে আছেন গোরান পান্ডেব।

চলতি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে তার চার গোলের সুবাদে কাতার বিশ্বকাপের আরও কাছাকাছি মেসিডোনিয়া। শৈশবে চেলসি যুব দলের হয়ে খেলেছিলেন ত্রাজকোভস্কি। তার শেষ মুহূর্তের গোলেই ২০১০ কোপা আমস্টারডামে ব্রাজিল বোটাফোজকে হারায় চেলসি যুব দল।

এরপর পালারমোর হয়ে চার মৌসুম খেলেছেন। তবে এর আগে ক্রোয়েশিয়া এমনকী বেলজিয়ামেও ঘুরে এসেছেন এ ফুটবলার। তবে ক্লাবে অর্থনৈতিক অনিয়মের কারণে চার ২০১৯ সালে পালারমোর ক্লাব ছেড়ে দেন। এরপর স্পেন ঘুরে বর্তমানে সৌদি আরবের আল ফায়হার হয়ে খেলছেন ত্রাজকোভস্কি।



আর্কাইভ