বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » মালদ্বীপে থাকার জায়গা নেই বাংলাদেশ ফুটবলারদের!
মালদ্বীপে থাকার জায়গা নেই বাংলাদেশ ফুটবলারদের!
বাংলাদেশের নতুন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার অধীনে প্রথম বিদেশ সফরেই অব্যবস্থাপনা দেখা দিয়েছে। মালদ্বীপের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ এখন মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে। সেখানে বাংলাদেশ দলের জন্য যে আবাসনের ব্যবস্থা করেছিল মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সেখানে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় কয়েকজন উঠেছেন অন্য আরেকটি হোটেলে।
প্রচলিত নিয়ম অনুসারে খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও অফিশিয়ালরা সাধারণত একই হোটেলে অবস্থান করেন। কিন্তু বাংলাদেশ দলের বেলায় ঘটল ভিন্ন ঘটনা। দলের প্রধান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা, ২৩ খেলোয়াড়, টিম অ্যাটেনডেন্ট, ফিজিও, ফিটনেস কোচ অবস্থান করছে বিভেহী হোটেলে। দলের বাকি সদস্যদের মধ্যে সহকারী দুই কোচ, গোলরক্ষক কোচ, ম্যানেজার, পর্যবেক্ষক,চিকিৎসক, মিডিয়া ম্যানেজারসহ কয়েকজন অবস্থান করছেন অন্য হোটেলে।
নিয়মানুযায়ী যে কোনো সফরে আবাসন খরচ বহন করে স্বাগতিক দেশের ফেডারেশন। সফরকারী বাংলাদেশ দলের সদস্যদের জন্য মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বিভেহী হোটেলে ৩৩ জনের আবাসনের ব্যবস্থা করেছিল। বাংলাদেশ স্কোয়াডের ২৩ সদস্যের জন্য ১২টি ডাবল রুম ও অফিসিয়ালদের জন্য ১০টি সিঙ্গেল রুমের ব্যবস্থা করেছিল। মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হুসেন জাওয়াদ জানিয়েছেন, রুম আকারে ছোট হওয়ায় সফরকারী দলের কিছু সদস্য অন্য হোটেলে গেছেন।
অবশ্য অন্য হোটেলে গেলেও বাংলাদেশ দলের সেই সদস্যদের আবাসন খরচ মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেই বহন করা হবে বলে জানিয়েছে তারা। হুসেন জাওয়াদ বলেন, ‘অবশ্যই স্বাগতিক হিসেবে আমাদেরই এটি বহন ক্করতে হবে।’
সফরকারী বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার ইকবাল হোসেন বলেন, ‘সেখানে রুমের আয়তন কম ছাড়াও অধিকাংশ রুম মাস্টারবেড সিস্টেম। খেলোয়াড়দের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য আমরা সেই রুমগুলোকে একজন করে দিয়েছি। আমরা এক মিনিট দূরত্বে অন্য হোটেলে রয়েছি।’
এদিন বাংলাদেশ দলের সঙ্গে প্রথম সফরের প্রথম দিনেই ভ্রমণ নিয়ে অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়লেন বাংলাদেশ কোচ ক্যাবরেরা। আবাসন নিয়ে সৃষ্ট সংকটে সময় নষ্ট হওয়ায় বাংলাদেশ দল সেদিন আর অনুশীলনে নামতে পারেনি।
অবশ্য উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় নিতে রাজি নন মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। সাধারণ সম্পাদক হুসেন জাওয়াদ বলেন,আমরা আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই সব ঠিক করেছি। এর আগে সাফেও এভাবেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা অধিক স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য অন্যখানে গেছে। সে ভার আমরা বহন করব। তাদের আরও কিছুর দরকার হলে তারও ব্যবস্থা করা হবে।