বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম | স্বাস্থ্য » চীনে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ, ফের কয়েকটি শহরে লকডাউন
চীনে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ, ফের কয়েকটি শহরে লকডাউন
চীনের সাংহাইসহ বেশ কয়েকটি শহরে হঠাৎ বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। এতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সরকারের কপালে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনেকটাই সফল হিসেবে পরিচিত পাওয়া চীনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় ফের মহামারি ফিরে আসার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাজধানী বেইজিংসহ বিভিন্ন শহরে জারি করা হয়েছে লকডাউন। অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ শেনঝেনে টানা পাঁচ দিন লকডাউন থাকার পর সেখানকার বাস ও রেলপথের সব সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রাজধানী বেইজিংয়ের সীমান্তবর্তী শহর ল্যাংফাং ও গুয়াংদংয়ের দক্ষিণ প্রদেশ দংগুয়ানে ওমিক্রনের দ্রুত সংক্রমণের কারণে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
দেশটির জিলিন প্রদেশ ও প্রযুক্তির কেন্দ্রস্থল শেনঝেনে পাঁচ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হওযায় ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রদেশ ত্যাগ ও চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ঘরে বসে দিন পার করছেন বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, এখানকার সব আবাসিক ভবন লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কিছু কিছু বাসায় শুধু খাবার ডেলিভারির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। সব জায়গায় লকডাউন। বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। রাস্তা আটকে দেওয়া হয়েছে। রাস্তা কোনো গাড়ি চলছে না।
চীনের উত্তর পূর্ব প্রদেশের ২ কোটি ৪ লাখ মানুষকে গত সোমবার কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। জরুরি সেবা ও সরবরাহ ছাড়া অন্য কাজ ঘরে বসে করতে বলা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানি তাদের উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাপানি গাড়ি প্রস্তুতকারক টয়োটা, জার্মান ভক্সওয়াগন ও আইফোন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ফক্সকন। তবে কারখানাগুলো এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে মনে করছেন চীনের অর্থনীতিবিদরা।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্যে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯৫২ জন।
দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৪৫৬ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৪০ জন। এ ছাড়া মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৬ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা শনাক্ত। এরপর বিশ্বের বিশ্বের বিভিন্ন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস।