মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » ব্যাংকের চাকরি হারিয়ে ‘আইজিপি’ পরিচয়ে ডিজিটাল প্রতারক!
ব্যাংকের চাকরি হারিয়ে ‘আইজিপি’ পরিচয়ে ডিজিটাল প্রতারক!
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স সম্পন্ন করা আরিফ মাইনুদ্দিন (৪৩) চাকরি করতেন একটি বেসরকারি ব্যাংকে। সেখান থেকে চাকরিচ্যুত হয়ে বেকার হয়ে পড়েন তিনি। এক পর্যায়ে জড়িয়ে পড়েন ‘ডিজিটাল বেইজড অপকর্মে’। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের নামে জি-মেইল, ট্রু-কলার, আইকন ও হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাকাউন্ট খুলে ফোন করতেন বিত্তশালীদের ও বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে। কারও কাছে চাইতেন টাকা, কাউকে করতেন ব্যাংকে চাকরির সুপারিশ। অবশেষে সিআইডির হাতে ধরা পড়েছেন সে প্রতারক। গতকাল সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঝিগাতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ম্যারেজ ডটকম নামে একটি ম্যারেজ ব্যুরোর প্রতিষ্ঠাতা বলেও জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।
তিনি জানান, গতকাল সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঝিগাতলা এলাকার একটি বাসা থেকে আরিফ মাইনুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি জানায়, জি-মেইল, ট্রু কলার, আইকন, হোয়াটসঅ্যাপসহ অনলাইনের বিভিন্ন অ্যাপসে তার নাম আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। এসব ব্যবহার করে বিত্তশালীদের ও বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে ফোন দিয়ে চাকরির সুপারিশসহ টাকা দাবি করতেন আরিফ।
তিনি বলেন, আসামি একটি মোবাইল (০১৯২৬৪৫০৬০৯) নম্বরে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে আইজিপি মহোদয়ের ছবি ও পদবী ব্যবহার করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলেন। এরপর বিভিন্ন দপ্তর, বাণিজ্যিক ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ফোন করে নিজেকে আইজিপি হিসেবে পরিচয় দিয়ে অবৈধ সুবিধা দাবি করেন।
গ্রেপ্তার আরিফ গত ২৬ আগস্ট এক্সিম ব্যাংকের হেড অফিসের হটলাইন নম্বরে এবং অ্যাসোসিয়েশন ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেডে ফোন দেন। এর তিন দিন পর মার্কেন্টাইল ব্যাংকে ফোন দিয়ে ড. বেনজীর আহমেদের নাম বলে অনৈতিক ও আর্থিক সুবিধা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কথা বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
আরিফ অন্য একজনের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সিমটি কিনে প্রতারণা করে আসছিলেন। সম্প্রতি আইজিপি অফিস থেকে বিষয়টি জানতে পেরে তদন্তের ধারাবাহিকতায় আরিফকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। বিভিন্ন ব্যাংকে ফোন দিয়ে চাকরি-টাকা চাইলেও এখনো কারো কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারেননি তিনি। তার বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।