শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » আবাহনীর ড্রয়ের দিন বসুন্ধরার বড় জয়
আবাহনীর ড্রয়ের দিন বসুন্ধরার বড় জয়
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে অষ্টম রাউন্ডে চার পয়েন্টের লিড পেল বসুন্ধরা কিংস। আজ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে। ঢাকা আবাহনী একই সময় রাজশাহীতে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে। আট ম্যাচ শেষে কিংসের পয়েন্ট ২১ আর আবাহনীর ১৭।
স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নবাগত দল। লিগের প্রথম ম্যাচেই বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়েছিল স্বাধীনতা। এরপর আর দলটিকে সেভাবে দেখা যায়নি। আজ রাজশাহীতে ঢাকা আবাহনীকে রুখে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক পয়েন্ট আদায় করে নিয়েছে। ৩৯ মিনিটে নবীব নেওয়াজ জীবনের গোলে আবাহনী লিড নেয়। ম্যাচের ৮০ মিনিটে স্বাধীনতার ইকবাল গোল করলে ম্যাচে সমতা আসে। বাকি সময়ে আবাহনী গোলের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ফলে পয়েন্ট খুইয়ে মাঠ ছাড়তে হয় আবাহনীকে।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচের প্রত্যাশা ছিল। চট্টগ্রাম আবাহনী দুর্বল দল হলেও কোচ মারফুল হক কিংসের বিপক্ষে চমক দেখিয়েছেন কয়েকবার। তবে আজ একেবারে মারুফের দল অপ্রত্যাশিতভাবে বড় ব্যবধানে হেরেছে। মারুফের ক্লাব কোচিং ক্যারিয়ারে ঘরোয়া লিগে এত বড় ব্যবধানের হারের রেকর্ড তেমন একটা নেই।
কিংস অ্যারেনায় প্রথমার্ধেই ম্যাচটি নিজেদের করে নেয় অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। সুমন রেজা ১৭ মিনিটে কিংসকে লিড এনে দেন। ব্রাজিলিয়ান রবসন রবিনহো ২৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। চার মিনিট পর ইব্রাহিমের গোলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ৪৩ মিনিটে দলের হয়ে চতুর্থ ও নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রবসন। ৪-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় কিংস।
দলটি যেহেতু মারুফের, তাই খানিকটা আশা ছিল দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতার। নীলফামারীতে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে তিন গোলে পিছিয়ে থেকেও চার গোল দিয়ে জেতার রেকর্ড আছে মারুফের দলের। নীলফামারীর পুনরাবৃত্তি তো দূরের কথা সেই অর্থে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি চট্টগ্রাম আবাহনী। এলিটা কিংসলে ৬৭ মিনিটে আরেকটি গোল করে কিংসের বড় জয় নিশ্চিত করেন।
ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে একটি আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে কিংসের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো ব্যথা পান। অবস্তা বেগতিক দেখে হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতি ছিল। পরবর্তীতে তিনি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় এক মিনিটের জন্য উঠে দাড়ান। এরপরই রেফারি শেষ বাঁশি বাজান।