শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | রেসিপি | শিরোনাম | স্বাস্থ্য » ডায়াবেটিস রোগী মিষ্টিকুমড়া খেতে পারবেন?
ডায়াবেটিস রোগী মিষ্টিকুমড়া খেতে পারবেন?
ডায়াবেটিস রোগীদের সবসময়ই খাবারে রাখতে হয় বাড়তি সতর্কতা। কারণ, কোন খাবার খেলে খাবারে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে, তা নিয়ে সবসময়ই আতঙ্কে থাকেন তারা। অনেক ডায়াবেটিস রোগীই প্রশ্ন করেন–তারা মিষ্টি কুমড়া খেতে পারবেন কি না।
ভিটামিন এ-এর একটি ভালো উৎস মিষ্টিকুমড়া। এ ছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ লবণ। বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই-এর পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, লোহা ও ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদানও রয়েছে এই কমলা রঙের সবজিটিতে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস রোগীরা কী খেতে পারেন আর কী খেতে পারেন না, তার অনেকটাই নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট খাবারটি রক্তে শর্করার মাত্রার ওপর কতটা প্রভাব ফেলে তার ওপর। এ বিষয়টি সাধারণত গ্লাইসেমিক লোড ও গ্লাইসেমিক ইনডেক্স নামক দুটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়।
একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবারে কতটা শর্করা রয়েছে, তা মাপা হয় গ্লাইসেমিক লোডের মাধ্যমে। যে যে খাবারের গ্লাইসেমিক লোডের মান দশের কম, সেই খাবারগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা খুবই সামান্য পরিমাণে বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স জানান দেয়, কোনো নির্দিষ্ট একটি খাদ্য রক্তে শর্করার মাত্রা কতটা বাড়াতে পারে। এক থেকে একশর মধ্যে যে খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যত বেশি, সেই খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা তত বেশি বৃদ্ধি করে।
তবে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যেহেতু খাবারের মোট পরিমাণ নির্দেশ করে না, তাই সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কোন খাবার কতটা উপযোগী, তা বুঝতে গ্লাইসেমিক লোড অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য মাপকাঠি।
মিষ্টিকুমড়ার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৭৫, যা অনেকটাই বেশি। কিন্তু এর গ্লাইসেমিক লোড মাত্র ৩। সুতরাং অল্প কিছুটা মিষ্টিকুমড়া খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা খুব বেশি হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু বেশি পরিমাণ মিষ্টিকুমড়া খেলে তা আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই পুষ্টির চাহিদা মেটাতে অল্প পরিমাণে মিষ্টিকুমড়া ডায়াবেটিস রোগী খেতেই পারেন।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা