বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | রাজনীতি | শিরোনাম » দেশ এগিয়ে যাওয়ার মধ্যেও ষড়যন্ত্র হচ্ছে: নানক
দেশ এগিয়ে যাওয়ার মধ্যেও ষড়যন্ত্র হচ্ছে: নানক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যেতে থাকলেও ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেছেন, ‘মুজিববিহীন বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দেশ এগিয়ে যাওয়ার পথেও তা রুদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নানক আরও বলেন, বিএনপিকে ভালো না লাগার বেরামে পেয়েছে। দেশকে পিছিয়ে নিতে চায় তারা। কাজেই আপনাদের সবসময় চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যায় খুনি মোস্তাকের সহায়তাকারী জিয়াউর রহমান ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ আমাদের বাজাতে দেয়নি। জেনারেল এরশাদ, খালেদা জিয়া দেশ থেকে ভাষণটি নিষিদ্ধ করে উঠিয়ে দিয়েছিলো, কারণ এই ভাষণকে তারা ভয় পায়। এতেই বুঝা যায় বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের কী কৌশল হবে তা দিয়ে গিয়েছিলেন। এ ভাষণের মাত্র ১৮ দিনের ব্যবধানে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। সে ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু পারেনি।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বুকে ধারণের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, এ ভাষণটি কী অপূর্ব কী অকল্পনীয়। তা আমরা লক্ষ্য করলেই দেখতে পাই। ওই ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়ে পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুকে যেন কেউ বিছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে অভিহিত করতে না পারে সে দিকে তার সজাগ দৃষ্টি ছিলো।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নানক বলেন, একটি কুচক্রীমহল দেশকে যেভাবে অস্থিতিশীল করে তোলার অপচেষ্টা অব্যহত রেখেছে তোমাদের সেদিকে নজর রাখতে হবে। তাদের সকল ষড়যন্ত্রেকে রুখে দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা সব সময়ই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী খাদ্য মজুদ করে অস্থিতিশীল করতে চায়। বিএনপি, জামায়াতের একটি শ্রেণি ব্যবসায়ীদের উস্কে দিতে চায়। বিএনপির স্বার্থ বাস্তবায়নের জন্য এক শ্রেণির ব্যবসায়ী খাদদ্রব্য মজুদ করে মূল্য বৃদ্ধি করে মুনাফা লুটার চেষ্টা করে।
দেশপ্রেমী ব্যবসায়ীদের কাছে তিনি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনারা দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সজাগ থাকবেন। সরকার সজাগ থাকবে, বাজার মনিটরিং করবে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজীর সভাপতিত্বে এবং ও শাখা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত আরো অতিথি ছিলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।