বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | মাদারীপুর | শিরোনাম » মাদারীপুরে গোপন ভিডিও ধারণে এসএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুকে হত্যা
মাদারীপুরে গোপন ভিডিও ধারণে এসএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুকে হত্যা
অবশেষে জট খুলল মাদারীপুরের কালকিনিতে নিজ ঘর ঢুকে এসএসসি পরীক্ষার্থী জহিরুলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা। বন্ধু নুরুজ্জামানের গোপন ভিডিও ধারণ করার কারণেই জহিরুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। ঘটনার ৮ দিন পর একমাত্র অভিযুক্ত বন্ধু নুরুজ্জামানকে রাজধানীর শ্যামপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুরের কালকিনির মহরুদ্দিরচর এলাকায় নিজ ঘর থেকে রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয় এসএসসি পরীক্ষার্থী জহিরুল সরদারের। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শাহীন সরদার অজ্ঞাতদের আসামি করে কালকিনি থানায় মামলা করলে পুলিশের পাশাপাশি জেলার গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তে নামে। ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানী ঢাকার শ্যামপুর থেকে বুধবার রাতে বন্ধু নুরুজ্জামান ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয় নিহত জহিরুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন।
পরে এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, নুরুজ্জামানের একটি গোপন ভিডিও ধারণ করার কারণেই জহিরুলকে ঘরে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে গ্রেফতারের পর তাকে পাঠানো হয় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। সেখানে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় অভিযুক্ত নুরুজ্জামান।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, প্রধান ও একমাত্র অভিযুক্ত নুরুজ্জামান ইসলাম (১৮) মহরুদ্দির চর এলাকার সালাম হাওলাদারের ছেলে। নুরুজ্জামানের একটি গোপন ভিডিও ধারণ করার কারণেই ক্ষুব্ধ হয়ে জহিরুলকে পরিকল্পিতভাবে ঘরে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আশফাক রাসেল জানান, নিহত জহিরুল সমিতিরহাট আবা খালেক মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। তার বাবা বারেক সরদার কাতার প্রবাসী। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দেওয়া হবে।