বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » ২৮ নাবিককে ফেরাতে কূটনৈতিক চেষ্টা চলছে: নৌপরিবহনমন্ত্রী
২৮ নাবিককে ফেরাতে কূটনৈতিক চেষ্টা চলছে: নৌপরিবহনমন্ত্রী
কূটনৈতিকভাবে ইউক্রেনে জাহাজে আটকেপড়া জীবিত ২৮ নাবিককে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সবিচালয়ে দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এদিকে, হাদিসুর রহমানের মরদেহ দেশে আনার আকুতি জানিয়েছেন তার বাবা। হাদিসুরের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নে।
হাদিসুরের চাচা বেতাগী উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই মাদরাসা শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে হাদিসুর। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি থেকে লেখাপড়া শেষ করে ২০১৮ সাল থেকে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন তিনি।’
তিনি বলেন, ‘গত রাত ১১টার দিকে ইউক্রেন থেকে ওই জাহাজে থাকা নাবিকরা আমাদের ফোন করে বিষয়টি জানান ‘
বাবা রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, ‘যেভাবেই হোক আমার ছেলের মরদেহ যেন দেখতে পারি। সরকার তার মরদেহ আমাদের কাছে হস্তান্তরে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে বলে আমরা আশা করি।’
এর আগে সকালে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএসসির পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক কমডোর সুমন মাহমুদ সাব্বির বলেন, ‘তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। তারা ভালো আছেন। তবে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত তাদের সেখানে থাকাই ভালো। নাবিকদের জন্য পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা আছে।’
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএসসির পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক কমডোর সুমন মাহমুদ সাব্বির বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সময় সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কমডোর সুমন মাহমুদ সাব্বির বলেন, সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য গত ২২ ফেব্রুয়ারি ২৯ নাবিক নিয়ে তুরস্ক থেকে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায় ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এড়াতে পণ্য বোঝাই না করেই দ্রুত ফেরত আসার জন্য জাহাজটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যেই যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে অলভিয়া বন্দরেই আটকে রয়েছে এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। জাহাজটিতে ৩৫ দিনের খাবার এখনো মজুত আছে।
এদিকে পরিবার-পরিজন জানান, তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে থাকা বাংলাদেশি জাহাজের ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমানের ফোন বন্ধ হয়ে যায়। কথা বলার সময় সংযোগ কেটে গেলে নেটওয়ার্কের জন্য জাহাজের ব্রিজে যান তিনি। এ সময় হঠাৎ রাশিয়ার রকেট হামলায় প্রাণ হারান ঘটনাস্থলেই। বিধ্বস্ত হয় জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। জাহাজটিতে এখনো আটকে থাকা ২৮ নাবিক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন।