শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১
N2N Online TV
মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » এবার কেড়ে নেওয়া হলো পুতিনের ব্ল্যাক বেল্ট
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » এবার কেড়ে নেওয়া হলো পুতিনের ব্ল্যাক বেল্ট
৪৩২ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

এবার কেড়ে নেওয়া হলো পুতিনের ব্ল্যাক বেল্ট

---

ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলার কারণে দেশটি বিরাট বিপদে পড়েছে। আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন পুতিনের সম্মানসূচক সভাপতির পদকও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক তায়কোয়ান্দো ঘোষণা দিয়েছে, পুতিনের ব্ল্যাক বেল্ট তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

ইউক্রেনে হামলার কারণে একে একে রাশিয়ার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে পুরো ক্রীড়া বিশ্ব। প্রথমে কয়েকটি দেশের বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব খেলতে না চাওয়া, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল রাশিয়া থেকে সরিয়ে আনার পর জানা গিয়েছিল আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন পুতিনের সম্মানসূচক সভাপতির পদকও কেড়ে নিয়েছে। সর্বশেষ ফিফা এবং উয়েফা জানিয়েছে, রাশিয়া বিশ্বকাপ কিংবা ইউরোপিয়ান কোনো প্রতিযোগিতাতেই অংশ নিতে পারবে না।

এরই মাঝে আরেক ঝামেলায় পড়লেন দেশটির প্রেসিডেন্ট পুতিন। ‘ওয়ার্ল্ড তায়কোয়ান্দো’ জানিয়েছে, তারা বিশ্বে শান্তি চায়। এ কারণে কোনোভাবেই পুতিন ব্ল্যাক বেল্ট ধারণ করতে পারেন না।

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স সংস্থা, জুডো ফেডারেশন এবং বিশ্ব তায়কোন্দো সংস্থা বিভিন্নভাবে পুতিনের সম্মান কেড়ে নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা (আইওসি) এক বিবৃতিতে লিখেছে, ‘ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যুদ্ধবিরতি নীতি গুরুতর লঙ্ঘন করেছে রাশিয়া। এ ছাড়াও অতীতে রাশিয়ার সরকারের অলিম্পিকস চার্টারের অন্যান্য নিয়ম লঙ্ঘন বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বর্তমানে রাশিয়া সরকারে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে এমন সমস্ত ব্যক্তির কাছ থেকে অলিম্পিকস অর্ডার প্রত্যাহার করে নেবে আইওসি বোর্ড।’

বিশ্ব তায়কোন্দো প্রতিযোগিতায় রাশিয়ার পতাকা থাকবে না এবং তাদের জাতীয় সংগীতও বাজানো হবে না। আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন আগেই জানিয়েছে পুতিনের সম্মানসূচক প্রেসিডেন্ট এবং শুভেচ্ছা দূতের পদ কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ২০১৩ সালে তাকে এই সম্মান দেওয়া হয়েছিল।

১১ বছর বয়সে জুডোর ম্যাটে পা রাখা পুতিন প্রথম দিকে ছিলেন অতিসাধারণ এক জুডোকা। তার মাঝে প্রতিভার বিচ্ছ্বুরণ দেখেননি কোচ বরিস রাখালিন। তবে পুতিনের ছিল হার না-মানা মানসিকতা। আর এই মানসিকতাই পুতিনকে করেছিল বাকিদের চেয়ে আলাদা। সময়ের সঙ্গে পুতিন নিজেকে পরিণত করেন এক দক্ষ জুডোকায়।



আর্কাইভ