রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » মধ্যসত্ত্বভোগীর কারণে গাইবান্ধার ২০ টাকার সবজি ঢাকায় ৭০ টাকা
মধ্যসত্ত্বভোগীর কারণে গাইবান্ধার ২০ টাকার সবজি ঢাকায় ৭০ টাকা
সব সময় মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ থাকে মধ্যসত্ত্বভোগী। তাদের কারণে গাইবান্ধার ২০ টাকার সবজি ঢাকায় ৭০ টাকা হয় বলে জানিয়েছেন কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সবজির দাম নিয়ে মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় এটি নিয়ে কাজ করছে। আমরা গবেষণাও করছি, কেন সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি আমরা নির্ণয় করতে চাই। আমরা এ পর্যন্ত যে তথ্যগুলো পেয়ে আসছি, তা হচ্ছে সব সময় মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ থাকে মধ্যসত্ত্বভোগী। তাদের কারণে গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে যে সবজির কেজি ১০-২০ টাকা হয়, সেটি আমরা ঢাকায় ৬০-৭০ টাকায় কিনে খাই।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে সংযুক্ত করে একটা কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে আমরা একটি উদ্যোগ নিয়েছি, যাতে করে আমরা দেখতে পারি যে মধ্যসত্ত্বভোগী কোথায়-কোথায় আছেন। আমরা তাও দেখছি, কী কী ব্যবস্থা নিলে সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পারি।
‘দ্বিতীয়ত এ বছর অসময়ে দুই বার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিশেষ করে ৫ ডিসেম্বর যে বৃষ্টিপাত হয়েছে তা বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে। এতে করে অবশ্য উৎপাদনে ঘাটতি হয়নি, উৎপাদন ঠিকই আছে। কিন্তু কৃষকদের দ্বিতীয়বার আবার উৎপাদনে যেতে হয়েছে। এতে করে তাদের খরচ বেশি পড়েছে। কৃষকের ব্যয় বৃদ্ধি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির আরেকটি কারণ বলে মনে হচ্ছে। সার্বিকভাবে পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরা গবেষণা করছি’- বলেন কৃষি সচিব।
বর্তমান বাজার নিয়ন্ত্রণে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবস্থা নিয়ে যাচ্ছি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, মধ্যসত্ত্বভোগী এখানে একটি ভূমিকা রাখছে। তাদের দৌরাত্ম্য কমাতে আমরা কাজ করছি। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও কাজ করছে। আমরা এখন দেখতে চাচ্ছি, কোন পর্যায়ে কত দাম হওয়া উচিত।
তিনি জানান, আগামীকাল (২৮ তারিখ) থেকে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী সবজি মেলা। এ মেলার প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘নিরাপদ সবজি চাষ, স্বাস্থ্য পুষ্টি বারো মাস’। ওইদিন বেলা ৩টায় কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক মেলার উদ্বোধন করবেন। ৬ষ্ঠ বারের মতো এ মেলার আয়োজন করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। মেলা শেষ হবে ২ মার্চ।