বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির অন্যতম কারণ ভ্যাট
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির অন্যতম কারণ ভ্যাট
পণ্যমূল্য বৃদ্ধির যে ঊর্ধ্বগতি, তার নৈপথ্যের অন্যতম কারণ মূল্যসংযোজন কর বা ভ্যাট। ব্যবসার বিভিন্ন পর্যায়ে অতিরিক্ত ভ্যাট আদায় করা হচ্ছে, যার ফলে ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে দ্রব্যমূল্য।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।
এ সময় উদাহরণ দিয়ে তারা বলেন, একটি পণ্যের দাম ১০০ টাকা হলে, কয়েক স্তরে হাতবদল হয়ে খুচরা ব্যবসায়ীদের হাতে আসে। এরপর খুচরা ব্যবসায়ী আবারও ভ্যাট ও লাভসহ বিক্রি করলে পণ্যের বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন। ১০০ টাকার পণ্য ক্রেতার কিনতে হয় ১৫০ টাকায়।
ভ্যাট কর্মকর্তারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের চাপ দিয়ে ভ্যাট নিবন্ধন করাচ্ছেন মন্তব্য করে সংস্থাটি বলেছে, প্রতি মাসে রিটার্ন দাখিল না করলে, নেওয়া হচ্ছে জরিমানা। উৎসবের মৌসুমে ১০ ভাগও ব্যবসা হয়নি। পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা ব্যবসায়ীরা কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ সময় ব্যবসায়ীরা বার্ষিক ৫০ লাখ টাকা টার্নওভার পর্যন্ত ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখার বিধান বাস্তবায়নের দাবি জানান।
তারা বলেন, মোট ব্যবসায়ের মধ্যে অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৫৫ লাখ। তাদের সমস্যা সব চেয়ে বেশি। ১ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করা এসব ব্যবসায়ীদের নানাভাবে করের আওতায় আনা হচ্ছে।
এদিকে রোজার মাসে পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে কর সুবিধা দেবার দাবি জানান তারা। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের রোজায় মাসে সহনীয় মুনাফা করারও পরামর্শ দেন তারা।