বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » বিশাল অনলাইন জুয়ার সিন্ডিকেট, ৩ মাস্টার গ্রেফতার
বিশাল অনলাইন জুয়ার সিন্ডিকেট, ৩ মাস্টার গ্রেফতার
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক খেলা ঘিরে দেশেও তৈরি হয়েছে বিশাল অনলাইন জুয়ার সিন্ডিকেট। বছরে পাচার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। একটি চক্রের তিন মাস্টার এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।
তিনজনের কারও নেই সাধারণ আয়ের উৎস। তবে প্রত্যেকেরই আছে দেশের বিভিন্ন স্থানে জমি, গাড়িসহ বিপুল অবৈধ সম্পদ। বলছি অনলাইনে বেটিং বা জুয়ার সাইট পরিচালনাকারী তিন মাস্টার এজেন্টের কথা।
গত শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে এই চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. তরিকুল ইসলাম ওরফে বাবু, রানা হামিদ ও মো. সুমন মিয়া। এ সময় তাদের কাছে থাকা ১টি গাড়ি, নগদ ১১ লাখ ৮০ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও ২৩টি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের দাবি, গত এক বছরেই অনলাইন জুয়া থেকে পাওয়া ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা পাচার করেছে তারা। ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকেই।
ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে টার্গেট শ্রেণিতে ছড়িয়ে দেওয়া হয় জুয়ার নেশা। এতে অংশ নিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন অনেক মানুষ। একইসঙ্গে মাস্টার এজেন্টরা পিবিইউ বা ভার্চুয়াল কারেন্সি কম দামে কিনে তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি করত চক্রটি।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, এই বাজি ধরে কেউ হয়তো একটি জেতে। কিন্তু ১০টিতে হারে। এর ফলে সে সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে।
অনলাইনে বেশির ভাগ সাইট ভারত, মালেশিয়া ও রাশিয়া থেকে পরিচালিত হচ্ছে। ফলে সাইটগুলো বন্ধে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানায় সংস্থাটি।
হাফিজ আক্তার বলেন, আমাদের দেশে যারা কাজ করেন, তাদের বলা হয় মাস্টার এজেন্ট। অন্যান্য দেশ থেকে সুপার এজেন্টদের থেকে মাস্টার এজেন্টরা প্রচুরসংখ্যক পিবিইউ ক্রয় করে। তখন লোকাল এজেন্টরা গেইমারদের কাছে এই পিবিইউ বিক্রি করে এই অনলাইন গেইমিং কার্যক্রম চালাতে থাকে।
এ ঘটনায় জড়িত আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় সংস্থাটি।