মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | শিরোনাম » নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে যথাযথ র্মযাদায় ‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম,স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামসহ কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কনুস্যলেটে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহিদ মিনারে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। সেখানে ৫২’র ভাষা শহিদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে কনসাল জেনারেল ড. ইসলাম ৫২’র ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে, ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারী সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ ভূমিকা ও অবদানের কথা স্মরন করেন। তিনি পৃথিবীর সকল বিলুপ্তপ্রায় ভাষা সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহবান জানান। অমর একুশের চেতনা বিভিন্ন ভাষাভাষী ও সংস্কৃতির মানুষের মধ্যেকার বন্ধুত্ব ও যোগসূত্রকে আরো জোরদার করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং ক্রমান্বয়ে তা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত সফলতা অর্জনের বিষয়ে আলোকপাত করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যে প্রভূত
উন্নতি সাধিত হয়েছে তা বর্ণনা করেন। মন্ত্রী সকলকে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে একতাবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব।
কংগ্রেসওমেন গ্রেস মেং, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। থাইল্যান্ড, পেরু, বুলগেরিয়া, ভারতের কনসাল জেনারেলগণ তাদের মাতৃভাষায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের পাশাপাশি এস্তোনিয়া, পেরু, বুলগেরিয়া এবং ভারতের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী’র মাহেন্দ্রক্ষণে অনুষ্ঠিত অমর একুশের এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানটিতে বাংলাদেশী-আমেরিকান নাগরিকবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, নতুন প্রজন্ম, কমিউনিটি সদস্যসহ দেশ-বিদেশের বিপুল সংখ্যক দর্শক-শ্রোতা ভার্চুয়ালী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে ৫২’র সকল মহান ভাষা শহিদদের, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্য, ৭১-এর সকল শহিদ, শহিদ বুদ্ধিজীবী এবং শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।