শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত গবেষণায় সহায়তা সরকারের অগ্রাধিকার : পরিবেশ মন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত গবেষণায় সহায়তা সরকারের অগ্রাধিকার : পরিবেশ মন্ত্রী
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশ সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে বলে জানিয়ছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ।
আজ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত পরিবেশ বিষয়ক ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ইমেরিটাস ডক্টর আইনুন নিশাত।
শাহাব উদ্দিন আরো বলেন, যখনই পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড থেকে তহবিলের জন্য গবেষক এবং বিখ্যাত গবেষণা সংস্থার কাছ থেকে গবেষণা প্রস্তাব পায় তখন এটি অগ্রাধিকারভিত্তিতে সর্বোচ্চ বিবেচনা করা হয়। দেশের প্রেক্ষাপটে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বিষয়ে আরো নির্ভরযোগ্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা গ্রহণের জন্য শিক্ষাবিদদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, সরকার ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা’ নামে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে এবং নিজস্ব সম্পদ থেকে একটি জাতীয় জলবায়ু অর্থব্যবস্থা ‘বাংলাদেশ জলবায় পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৮০০টি প্রকল্পে সহায়তা করতে ৪৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। দেশের জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তোলার জন্য ট্রাস্ট তহবিল ব্যবহার করে ১০ বছরের পরিকল্পনায় আরো বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ এবং ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে যা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছে, লবণাক্ততা, খরা এবং বন্যা সহনশীল ফসলের জাত প্রবর্তনের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছরে আমরা দেশের অফ গ্রিড এলাকায় ৬ মিলিয়নেরও বেশি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে এবং ১৮ মিলিয়ন মানুষকে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমরা সারাদেশে এক কোটিরও বেশি গাছের চারা রোপণ করেছি। আমরা ২১ দশমিক ৮৫ শতাংশ বা ৮৯ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমণ হ্রাসে আরো যুগোপযোগী লক্ষ্যমাত্রাসহ গত বছর জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান আপডেট করেছি।