শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » জলবায়ু তহবিল অর্থায়নে বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দের প্রতি সহায়তার আহ্বান মোমেনের
জলবায়ু তহবিল অর্থায়নে বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দের প্রতি সহায়তার আহ্বান মোমেনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জন্য তহবিল ও প্রযুক্তি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বকে সহায়তার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিনি শুক্রবার শুরু হওয়া ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন’-এ জলবায়ু সংকট মোকাবিলার ওপর এক প্যানেল আলোচনায় একথা বলেন। মিউনিখ নিরাপত্তা সূচক-২০২২ এর জন্য এক গণ-জরিপে জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রধান নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের উল্লেখ করে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বাস্তুচ্যূতির কারণে পরিস্থিতির সম্ভাব্য পরিণতির প্রতি মনোযোগী হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর, এই উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য দায়ী কার্বণ নিঃসরণের দায়, খুবই নগন্য অথচ বিশ্বের এই দূষণ পরিস্থিতির জন্য মূলত দায়ী হচ্ছে জি-২০ভুক্ত অধিকাংশ দেশ। ড. মোমেন বলেন, বার্ষিক জলবায়ু মোকাবিলা তহবিলের জন্য প্যারিস জলবায়ু সম্মেলন প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহের লক্ষ্যে এ বছর বিশ্ব সম্প্রদায়কে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
প্যালেনে মোমেনের সাথে আরো যোগ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক দূত জন কেরি, স্টেট সেক্রেটারি এট জার্মান ফেডারেল মিনিস্টার ফর ইকোনোমিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন ফ্রানজিসকা ব্রান্টনার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের শিল্প ও উন্নত প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী সুলতান আহমেদ আল জাবের। প্যানেল আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন দ্য ইকোনমিস্ট এর এডিটর-ইন-চিফ জেনি বেড্ডেওস।এতে উপস্থিত ছিলেন ক্লাইমেট ইম্প্যাক্ট রিসার্চ, পোস্টডাম ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. জোহান রকস্ট্রোর্ম।
বক্তারা জলবায়ু পরিবর্তনকে অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে অভিহিত করেন। তারা ইউক্রেনকে নিয়ে বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে জ্বালানী নিরাপত্তার ওপর সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাবের কারণে বিশ্বের দৃষ্টি জলবায়ু পরিবর্তন থেকে অন্য দিতে সরে যেতে পারে বলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বক্তারা এখন থেকেই জলবায়ু মোকাবিলা কার্যক্রম গতিশীল করার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
কোভিড-১৯ মহামারির সম্ভাব্য ঢেউয়ের আশঙ্কায় বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই ভ্যাকসিনকে ‘বৈশ্বিক গণ-পন্য’ হিসেবে ঘোষণা দেয়ার জন্য এবং সারা বিশ্বে সবার জন্য সমানভাবে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার পুনঃআহ্বান জানান।
কানাডা ও সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্যানেল থেকে বিল গেটসের উপস্থিতিতে মোমেন বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
জার্মানীর দক্ষিনাঞ্চলীয় শহরে গত শুক্রবার শুরু হওয়া তিন দিনের এই মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে সরকারী ও বেসরকারী খাতের বিশ্ব নেতৃবৃন্দ যোগদান করেন। এ বছর বাংলাদেশ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে যোগ দেন আর্মড ফোসের্স ডিভিশনের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
দিন শেষে ড. মোমেন বায়ার্ন আওয়ামী লীগের ব্যানারে আয়োজিত এক কমিউনিটি সভায় বক্তব্য রাখেন। জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন।