রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » জিয়া পরিবারের বিচার বাংলার মাটিতে হতেই হবে - তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
জিয়া পরিবারের বিচার বাংলার মাটিতে হতেই হবে - তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, বাঙালি জাতিকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখিয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এদেশে খুনের ইতিহাস যারা তৈরী করেছে তাদের বিচার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এদেশে ইনডেমিনিটি জারি করা জিয়াউর রহমান ও মুশতাকদের বিচার এখনো পর্যন্ত হয়নি। জিয়া পরিবারের মরণোত্তর ও যারা এখনো বেঁচে আছে কুলাঙ্গার তারেক জিয়াসহ তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হতেই হবে। এদের বিচার বাস্তবায়ন করতে আমার মতো শত শত বঙ্গবন্ধুর সৈনিক প্রস্তুত।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নিউজ স্টুডিও উদ্বোধন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও বিএফডিসির জন্য বরাদ্দকৃত স্থান পরিদর্শন শেষে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নিতাই কুমার ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াছমিন, বিটিভির অনুষ্ঠান পরিচালক জগদীশ এষ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল হোসেন খান, উপপরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।
বেগম জিয়া কি তার স্বামীর বিচার চেয়েছে এমন প্রশ্ন রেখে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেন, বিদেশের মাটিতে বসে আছে কুলাঙ্গার তারেক। ওরা তো এ বাংলার সন্তান না, তাদের জন্ম পাকিস্তানে। যারা বেগম জিয়াকে আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান, সেই স্বপ্ন ভুলে যান। যারা দালালি করছেন, তারাও সাবধান হয়ে যান। খুনি জিয়ার পরিবারের পক্ষে দালালি বন্ধ করুন। ‘বেগম জিয়ার তো চিত্রনায়িকা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তিনি ঘুম থেকেই উঠতেন না, বলেন -তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতা, তথ্যমন্ত্রী মহোদয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিএফডিসির জন্য চট্টগ্রামে স্থান বরাদ্দ দেওয়াসহ বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উন্নয়নে নানান প্রকল্প গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে। ১৯৯৬ সাল থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কথা বলে আসছেন। তাঁর সুযোগ্য পুত্র তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় অবৈতনিক দিন-রাত পরিশ্রম করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছেন।
ডা. মুরাদ হাসান বলেন, পাকিস্তানি অসভ্য জাতিকে যুদ্ধ করে নিরস্ত্র বাঙালি পরাজিত করার ইতিহাস বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি পাসপোর্ট দিয়ে গেছে। বাংলাদেশ নামে কোনও দেশ ছিল না। কোনও ঠিকানা ছিল না। ছিল না কোনও অস্তিত্ব, পদদলিত হয়েছি সারাজীবন। বঙ্গবন্ধুই এ জাতির ঠিকানা খুঁজে দিয়েছেন। এই বাংলাদেশকে সবাই লুটপাট করে খেয়েছে। আজ তারা সমৃদ্ধ। তাদের শাসন-শোষণ থেকে বেরিয়ে এসে বাঙালি জাতিকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে সোনার মানুষ দরকার। এখানে সবাইকে সোনার মানুষ হয়ে থাকতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ যেন আমরা বুঝি। বঙ্গবন্ধু কন্যার সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে কাজ করতে হবে। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি মুরাদ হয়েছি বঙ্গবন্ধুর কারণেই। দেশের জন্য আমার অনেক দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধুর মতো হোন, বঙ্গবন্ধু কন্যার মতো হোন। আমি প্রতিদিন বঙ্গবন্ধুর মতো হতে চেষ্টা করি। আমি বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু কন্যার কর্মী হতে চাই। এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশ, জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।
এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র এলাকায় গাছের চারা রোপণ করেন। পরে তিনি টেরাকোটায় নির্মিত বাংলাদেশের ইতিহাস সম্বলিত ম্যুরাল পরিদর্শন করেন এবং বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নিউজ স্টুডিও উদ্বোধন করেন। তিনি শ্যুটিং স্পট, টেলিভিশন টাওয়ার, বিএফডিসির জন্য বরাদ্দকৃত স্থানও পরিদর্শন করেন।