শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১
N2N Online TV
রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » ই-অরেঞ্জের কোটি টাকা আত্মসাতকারী সোহেল যেভাবে পালালেন ভারতে
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » ই-অরেঞ্জের কোটি টাকা আত্মসাতকারী সোহেল যেভাবে পালালেন ভারতে
১৮১ বার পঠিত
রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ই-অরেঞ্জের কোটি টাকা আত্মসাতকারী সোহেল যেভাবে পালালেন ভারতে

---

দেশ ছেড়ে পালাতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাছে ধরা পড়েছেন আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত মালিক ও বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা।

গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের মামলার আসামি সোহেল রানা সেখানে আটকের পর তার স্বীকারোক্তিমূলক কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ওই ভিডিও ফুটেজে সোহেল জানান, বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বাবু নামের এক ব্যক্তি তাকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারত সীমান্তের ওপারে পৌঁছে দেন। পরে একজন ভারতীয় তাকে টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট ছাড়াই ভারতে আশ্রয় দেন। কুচবিহার জেলার চেংড়াবান্দা সীমান্ত এলাকা থেকে বিএসএফ তাকে আটক করে।

সোহেল রানা জানান, শিলিগুড়িতে যেতে চেয়েছিল সোহেল রানা। সেখানে কপিল নামে তার একজন বন্ধুর মাধ্যমে নেপালে যাওয়ার কথা ছিল তার। নেপাল থেকে কিছুদিন পর ইউরোপ পাড়ি জমানোর পরিকল্পনা ছিল সোহেলের।

সোহেলকে আটকের সময় তার কাছে পাসপোর্ট, কয়েকটি দেশের মুদ্রা, থাইল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের কয়েকটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড পাওয়া যায় বলে জানা গেছে। ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের মামলায় সোহেলকে তিনদিনের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে কুচবিহার আদালত।

১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই-অরেঞ্জের মালিক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে গত ১৭ আগস্ট মামলা করেন ভূক্তভোগীরা। মামলাটির তদন্ত চলছে। এ মামলায় এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রধান তিন আসামি সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান ও প্রতিষ্ঠানের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমানউল্লাহ চৌধুরী।

সোনিয়া মেহজাবিন কাগজে-কলমে ই-অরেঞ্জের মালিক হলেও তার ভাই শেখ সোহেল রানা আড়ালে থেকে সব পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে ই-অরেঞ্জের হিসাব থেকে সোহেল রানার প্রায় আড়াই কোটি টাকা উত্তোলনেরও প্রমাণ পাওয়া গেছে। গত ২৮ আগস্ট ৭৬ কোটকা আত্মসাতের অভিযোগে সোহেল রানাসহ ই-অরেঞ্জের ১০ জন মালিক-কর্মচারীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন টিটু নামের একজন গ্রাহক। আদালতের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার সেপ্টেম্বর মাঝরাতে গুলশান থানা পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করে।



আর্কাইভ