শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » কোহলির যে উপহারে কেঁদেছিলেন শচীন
কোহলির যে উপহারে কেঁদেছিলেন শচীন
সময়টা ২০১১ সালের ২ এপ্রিল। ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। সেই দলের সঙ্গী ভারতের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার ও বিরাট কোহলি। বিশ্বকাপ জেতার পরই শচীনকে একটি উপহার দেন কোহলি। যা পেয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি টেন্ডুলকার।
শচীন জানান, বিশ্বকাপ জয়ের পর আমি অনেক আবেগী ছিলাম। তখন ড্রেসিং রুমের এক কোণায় বসে আছি। বিরাট কোহলি আমার কাছে আসে আর একটি রাখী বন্ধনী দেয়, যা তার বাবা তাকে দিয়েছিল। যদিও আমি সেটি নিতে চাইনি। শেষ পর্যন্ত এটি নিতেই হয় আমাকে। এরপর আর চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি আমি।
মার্কিন সংবাদিক গ্রাহাম বেনসিংগারের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন শত সেঞ্চুরির মালিক।
মাঠের পারফরম্যান্সের কারণে প্রায় সময়ই এই দুজনকে নিয়ে তুলনা করা হয়। যদিও তুলনায় যেতে রাজি নন উভয় তারকাই। ক্রিকেটীয় পরিসংখ্যানে হয়তো কোনো দিন শচীনকে পেছনে ফেলবেন বিরাট। সাবেক তারকার নামের পাশে রয়েছে ১০০ সেঞ্চুরির রেকর্ড। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে অবিশ্বাস্য এ অর্জন করেছেন শচীন। বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি করেছেন ৭০টি। তবুও হরহামেশা শচীন-বিরাটকে নিয়ে আলোচনা চলে, চলে সমতার কথাও।
বেনসিংগার শচীনকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, দুজনার মধ্যে কে এগিয়ে। জবাবে বিতর্কে না গিয়ে সোজা সাপ্টা উত্তর দেন টেন্ডুলকার। তিনি বলেন, দুজনকে এক দলে নেওয়া হলে কেমন হয়!
শচীনের মতো বহু উপলক্ষে এ বিতর্ক এড়িয়েছেন বিরাট কোহলিও। সেরার প্রসঙ্গ আসলেই কোহলি বলেন, শচীন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতমদের মধ্যেও অন্যতম। তার সঙ্গে কোনো তুলনাই চলে না। নিজের ক্রিকেটে আসাটাই তো শচীনের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে।
কোহলির ভাষ্যমতে, যারা তুলনার জন্য উপযুক্ত আপনারা তাদেরই শচীনের সঙ্গে তুলনা করতে পারেন। আপনারা এমন একজনের সঙ্গে আমার তুলনা করছেন, যাকে দেখে আমি ক্রিকেট শিখেছি। দক্ষতার বিচারে আমি কোনো ভাবেই তার কাতারে নেই। সে পৃথিবীর সেরা কমপ্লিট ব্যাটার। তারপরও কীভাবে আমাদের তুলনা করা হয়?