শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১
N2N Online TV
বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » শরীরে লুকানো সোয়া কোটি টাকার সোনা, যাচ্ছিলো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » শরীরে লুকানো সোয়া কোটি টাকার সোনা, যাচ্ছিলো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে
১৩৭ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

শরীরে লুকানো সোয়া কোটি টাকার সোনা, যাচ্ছিলো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে

---

কক্সবাজারের উখিয়ায় চোরাচালানকৃত ১৯১ ভরি ৬ আনা সোনাসহ এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- র‍্যাব ১৫। র‌্যাব জানায়, স্বর্ণের চালানটি নিয়ে পালংখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছিল এ কারবারি। র‍্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (ল অ্যান্ড মিডিয়া) মো. বিল্লাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের র‍্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১৫ এর কমান্ডার লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার জানান, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশ (মায়ানমার) থেকে পালংখালী সীমান্তবর্তী দিয়ে বুধবার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি সোনার চালান ঢুকছে এমন খবরে র‍্যাবের চৌকস আভিযানিক দল পালংখালীতে বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে। তল্লাশি অভিযান শুরু করলে ঘটনাস্থলে আসা এক ব্যক্তি চেকপোস্টের সামনে থেকে পালানোর চেষ্টা করায় তাকে আটক করা হয়।

খায়রুল ইসলাম সরকার আরও জানান, ওই ব্যক্তির আচরণ ও গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাকে পালালোর কারণ জানতে চাইলে সে বিভিন্ন অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে। এমতাবস্থায় র‍্যাব তার দেহ তল্লাশি করে ৬টি সোনার বার, ৪টি নেকলেস, ৩৩টি গলার চেইন, ১৭টি চুড়ি, ৩৫ জোড়া কানের দুল, ১৫টি লকেট, ১২টি নাকফুল, ১৬টি আংটিসহ সর্বমোট ১৯১ ভরি ৬ আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে। উদ্ধার সোনার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ২৬ লাখ ৯ হাজার ৪শ ৫৯ টাকা।

তিনি বলেন, ‘জব্দ করা এসব সোনার বাজারমূল্য এক কোটি ২৬ লাখ টাকা। আটক করম আলী ওরফে করিম (৩৭) টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিয়াঘোনা এলাকার ঠাণ্ডা মিয়ার ছেলে।’

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত সোনার বার ও অলংকারের তার নিকট বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে সে দেখাতে ব্যর্থ হয়। আটক ব্যক্তি উদ্ধার করা সোনার চালানটি নিয়ে পালংখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছিল। সোনা চোরাচালানের সাথে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় একটি চক্রও জড়িত বলে স্বীকার করে আটক ব্যক্তি।’

তার কাছ থেকে মিয়ানমারের মোবাইল অপারেটর কোম্পানির ২টি এবং বাংলাদেশি ২টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে। এসব সিমকার্ড পাচারকাজে ব্যবহার করা হত বলে জানিয়েছেন খায়রুল ইসলাম সরকার।

আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা করে তাকে সোপর্দ করা হবে বলে জানান লে. কর্নেল খাইরুল। এ সংক্রান্তে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেফতারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।



আর্কাইভ