শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১
N2N Online TV
বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » বড় জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের পথে ম্যান সিটি
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » বড় জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের পথে ম্যান সিটি
১৪৮ বার পঠিত
বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বড় জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের পথে ম্যান সিটি

---

শেষ ১৬’র প্রথম লেগে স্পোর্টিং লিসবনকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পথে এক পা বাড়িয়ে রাখলো ম্যানচেস্টার সিটি। লিসবনের হোসে আলভালডে স্টেডিয়ামে জোড়া গোল করেছেন বার্নান্ডো সিলভা।
আগামী ৯ মার্চ ম্যানচেস্টারে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে পর্তুগীজ চ্যাম্পিয়নরা অতি বিস্ময়কর কিছু না করলে শেষ আটে খেলা প্রায় নিশ্চিত পেপ গার্দিওলার দলের। রিয়াদ মাহারেজের ৭ মিনিটের প্রথম গোলের পর সিলভা ১০ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুন করেন। ৩২ মিনিটে ফিল ফোডেনের গোলে ব্যবধান ৩-০ হয়। নিজের বাড়িতে ফেরার ম্যাচে পর্তুগীজ ফরোয়ার্ড সিলভা প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। বিরতির পর রাহিম স্ট্রার্লিংয়ের গোলে সিটিজেনদের বড় জয় নিশ্চিত হয়।
এনিয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় টানা ১৩ ম্যাচে অপরাজিত থাকলো সিটি। এর মধ্যে রয়েছে ১২টি জয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখনো সিটির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। কিন্তু ইউরোপীয়ান যেকোন ম্যাচে এত বড় জয় নি:সন্দেহে দলের আত্মবিশ্বাস বহুগুনে বাড়িয়ে দেয়। অন্য দলগুলোও এই ধরনের ফলাফলে কিছুটা হলেও নড়েচড়ে বসে।
প্রিমিয়ার লিগেও উড়তে থাকা সিটিজেনরা বর্তমানে লিভারপুলের থেকে ৯ পয়েন্ট এগিয়ে সুস্পষ্ট ব্যবধানেই শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। গত পাঁচ বছরে চতুর্থ লিগ শিরোপা জয়ে এবারও সিটিকেই ফেবারিট মানা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ঘরোয়া ফুটবলে গার্দিওলাও আরো একবার নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমান করতে যাচ্ছেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখনো কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। গার্দিওলা যদিও ২০১১ সালে বার্সেলোনার হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর এখনো ইউরোপীয়ান শিরোপা হাতে নিতে পারেননি। একইসাথে সিটিও প্রথমবারের মত শিরোপা জয়ের স্বপ্নে এখনো বিভোর রয়েছে। প্রতিবারই কোন না কোন ম্যাচে ব্যর্থ হয়ে একটু আগেভাগেই সিটির বিদায় নিশ্চিত হয়। গত বছর পোর্তোর অল-ইংলিশ ফাইনালে চেলসির কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে হতাশ হতে হয়েছিল। পর্তুগীজের মাটিতে ফিরে এসে আবারো সেই নক আউট পর্বের মুখোমুখি হতে হলো সিটিকে। যদিও এবার সেই পরীক্ষায় বেশ ভালবাবেই উতরে গেছে সিটিজেনরা।
মূলত ড্র অনুযায়ী সিটির শেষ ১৬’র ম্যাচে ভিয়ারিয়ালের মুখোমুখি হবার কথা ছিল। কিন্তু ড্র’তে ভুল করার কারনে পুনরায় তা অনুষ্ঠিত হয়, আর সেখানেই ভিয়ারিয়ালের পরিবর্তে সিটির প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখা গেছে স্পোর্টিং লিসবনকে। কাগজে কলমে ভিয়ারিয়ালের থেকে স্পোর্টিং অনেকটাই সহজ প্রতিপক্ষ হলেও মাঠের লড়াইয়ের আগে আসলে কিছুই বলা যায়না। এনিয়ে দ্বিতীয়বারের মত শেষ ১৬’তে খেলার সুযোগ পেয়েছে পর্তুগালের ক্লাবটি। যদিও কাল সিটির বিপক্ষে নিজেদের মাঠে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তারা ছিল নিষ্প্রভ। স্পোর্টিংয়ের সর্মথকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে প্রিয় ক্লাবকে সমর্থন যোগানোর। সিটির পর্তুগীজ খেলোয়াড় সিলভা, রুবেন ডিয়াস ও হুয়াও ক্যান্সেলোর জন্য তাদের সমর্থণ ছিল সবসময়ই। কিন্তু ম্যাচের সাত মিনিটেই এগিয়ে গিয়ে সর্মথকদের মুখ বন্ধ করে দেয় সিটি। সিলভার কাছ থেকে পাস পেয়ে ফোডেন শট নিলেও তা ফিরিয়ে দেন স্পোর্টিংয়ের গোলরক্ষক এন্টোনিও আডান। ফিরতি বলে কেভিন ডি ব্রুইনার কাছ থেকে বল নিয়ে ছয় গজ দুর থেকে তা জালে জড়ান মাহারেজ। প্রথমে গোলটি অফসাইডের কারনে বাতিল করা হলেও ভিএআর দীর্ঘ পরীক্ষার পর তা সিটিকে উপহার দেয়। সর্বশেষ ১১টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে এটি মাহারেজের ১০ম গোল। ১৭ মিনিটে রড্রির হেড স্পোর্টিং এরিয়ার মধ্যে পড়লে স্বাগতিক ডিফেন্ডার তা ধরতে অনেকটাই দেরী করে ফেলে। এই সুযোগে সিরভার হাফ ভলিতে ব্যবধান দ্বিগুন করে সফরকারীরা। ডান দিন থেকে মাহারেজের লো ক্রসে ৩২ মিনিটে ফোডেন গোল করে সিটির জার্সি গায়ে নিজের ১৫০তম ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখলেন। ৪৪ মিনিটে ক্যান্সেলোর লফটেড পাসে স্টার্লিংয়ের কাটব্যাক থেকে সিলভা নিজের দ্বিতীয় গোল করলে বিরতির আগে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সিটি।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে সিলভা হ্যাটট্রিক পূরণ করলেও অফসাইডের কারনে তা বাতিল হয়ে যায়। ৫৮ মিনিটে স্টার্লিং অবশ্য কোন ভুল করেননি। ২০ গজ দুর থেকে দুর্দান্ত স্ট্রাইকে স্টার্লিং সিটির হয়ে পঞ্চম গোলটি করেন।



আর্কাইভ