শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
N2N Online TV
শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ইউক্রেনে ‘যেকোনো সময়’ রুশ হামলা: যুক্তরাষ্ট্র
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ইউক্রেনে ‘যেকোনো সময়’ রুশ হামলা: যুক্তরাষ্ট্র
১৫৩ বার পঠিত
শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ইউক্রেনে ‘যেকোনো সময়’ রুশ হামলা: যুক্তরাষ্ট্র

---

ইউক্রেনে ‘যেকোনো সময়’ রুশ আগ্রাসন শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অতিসত্বর নিজ দেশের নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

শুক্রবার হোয়াইট হাউজ জানায়, রাশিয়া বোমা হামলার মাধ্যমে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করতে পারে। ফলে বেসামরিক নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগ কঠিন হয়ে যাবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র শান্ত পরিস্থিতিকে উত্তেজিত করে তুলছে বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নেদারল্যান্ডস নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেন ত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে।

শুক্রবার দেশটির এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ করলে নিজ দেশের নাগরিকদের উদ্ধারে সেনা প্রেরণ করা সম্ভব হবে না। তাই, যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেন ত্যাগের আহ্বান জানান ওই দেশে অবস্থানরত নাগরিকদের।

ইতোমধ্যে পোল্যান্ডে প্রায় তিন হাজার মার্কিন সেনা পাঠানো হয়েছে। তারা আগামী সপ্তাহের মধ্যে সেখানে পৌঁছাবে। তবে তারা ইউক্রেনের মধ্যে কোনো সংঘর্ষে জড়াবে না। পোল্যান্ডে থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করবে।

রাশিয়া প্রায় এক লাখের বেশি সেনা ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন করেছে। ইতোমধ্যে বেলারুশের সাথে রাশিয়া সামরিক মহড়া শুরু করেছে। এ মহড়াকে কেন্দ্র করে ওই অঞ্চলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। যদিও রাশিয়া দাবি করেছে, সামরিক মহড়া শেষ হলে সেনারা তাদের স্থায়ী ক্যাম্পে চলে যাবে।

আবার ইউক্রেন অভিযোগ করেছে যে, তাদের সমুদ্রপথ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। ফলে ইউক্রেনের কোনো জাহাজ সমুদ্রে প্রবেশ করতে পারছে না।

যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো সময় হামলার আশঙ্ক্ষা প্রকাশ করলেও রাশিয়া বরাবরই হামলার আশঙ্ক্ষা উড়িয়ে দিয়েছে। তবে রাশিয়া সেখানে সামরিক মহড়াসহ বিভিন্ন সামরিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে বলে দাবি বিশ্লেষকদের।

ইউক্রেন যেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদান থেকে বিরত থাকে, এ নিশ্চয়তা চায় রাশিয়া। সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁও রাশিয়ার দাবিকে যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন। একটি নিরাপত্তা চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেন সংকট নিরসন সম্ভব বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সামরিক বাহিনী চীনের প্রেসিডেন্ট ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়াকে সমর্থনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে একটি সশস্ত্র সামরিক গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে রাশিয়া। ইতোমধ্যে প্রায় ১৪ হাজারের বেশি ইউক্রেনের নাগরিক (বেসামরিক নাগরিকসহ) ওই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সাথে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে।



আর্কাইভ