রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ফরিদপুর | শিরোনাম » যেকোনো সময় বিলীন হতে পারে বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফের বাড়ি
যেকোনো সময় বিলীন হতে পারে বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফের বাড়ি
ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ফরিদপুরে পদ্মার পানি গত দুই সপ্তাহ যাবত বেড়েই চলছে। পদ্মা নদীর পানি বাড়তে থাকায় ফরিদপুরে বন্যা পরিস্থিতি আবারও অবনতি হয়েছে।
অপরদিকে আলফাডাংগা উপজেলার গোপালপুরে মধুমতি নদী এবং চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের ভাংগিডাঙি ও চর হরিরামপুর গ্রামে পদ্মা নদীর ব্যাপক ভাঙনে অনেক বসত বাড়ি ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে । এই সকল এলাকার লোকজন ভিটেমাটি হারিয়ে মানবতের জীবনযাপন করছে। মধুমতি নদীর ভাঙনে মধুখালী উপজেলার সালামতপুর গ্রেমের বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফের বাড়ি ও জাদুঘর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যেকোনো সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে ।
গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি ফরিদপুর পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বেড়ে এখন তা বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফরিদপুরের ৭টি উপজেলার ২৩টি ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল, ডিক্রিরচর, চরমাধবদিয়া অম্বিকাপুর ও আলিয়াবাদ ইউনিয়নসহ নতুন করে ২২৩টি গ্রামের ৫০ হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। পানি বাড়ার ফলে এ সকল এলাকার প্লাবিত মানুষের মধ্যে আবার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে । বন্যার পানি কয়েক দিনে অব্যাহত ভাবে বাড়তে থাকায় পদ্মার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের হাজারো মানুষের মাঝে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
বন্যার কারণে ফরিদপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় ধান ও সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এদিকে সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের একটি রাস্তা ভেঙে অনেক বাড়িঘরে পানি ওঠে গেছে ।
এরই মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফরিদপুরের ৭টি উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নে কয়েক হাজার পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার ও ১০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানিয়েছেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে গত এক মাস আগে থেকে মধুমতি নদীতে ভাঙন শুরু হয়। পনের দিন আগে থেকে বালি ভর্তি জিওব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধে অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ চলছে।
গত পাঁচ বছর যাবত আলফাডাঙ্গার এই মধুমতি নদীতে ফি বছরেই নদী তীরে ভাঙন হয়। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে ভাঙ্গনরোধের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে অনুমোদনের জন্য।