শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১
N2N Online TV
সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » আফ্রিকান নেশন্স কাপ: প্রথমবারের মত আফ্রিকার শিরোপা জিতলেন মানে
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » আফ্রিকান নেশন্স কাপ: প্রথমবারের মত আফ্রিকার শিরোপা জিতলেন মানে
১০৫ বার পঠিত
সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আফ্রিকান নেশন্স কাপ: প্রথমবারের মত আফ্রিকার শিরোপা জিতলেন মানে

---

নিয়মিত সময়ে পেনাল্টি মিস করলেও শ্যুট আউটে আর সেনেগালকে হতাশ করেননি তারকা স্ট্রাইকার সাদিও মানে। রোববার ক্যামেরুনের রাজধানী ইয়াউন্দের ওলেম্বে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে গোলশুন্য ড্র থাকার পর মোহাম্মদ সালাহর মিশরকে ৪-২ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মত আফ্রিকান নেশন্স কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে মানের সেনেগাল।
ম্যাচের ৭ মিনিটে মিশরীয় গোলরক্ষক আবু গাবাল মানের পেনাল্টিটি রুখে দিয়ে সেনেগাল শিবিরকে হতাশায় ডুবিয়েছিলেন। কিন্তু ম্যাচ শেষে সেই মানেই দেশের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। এবারের আফ্রিকান নেশন্স কাপে এনিয়ে টানা চতুর্থ ম্যাচে মিশর অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ নিয়ে গেল।
মিশরের হয়ে পঞ্চম পেনাল্টি শ্যুটটি নেবার কথা ছিল সালাহর। কিন্তু চতুর্থ শটে মোহাম্মদ আবদেলমোনেম বল পোস্টে লাগালে সেনেগাল জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। এর আগে মোহানাদ লাশিনের দ্বিতীয় শট দারুন দক্ষতায় রুখে দিয়েছিলেন সেনেগালিজ গোলরক্ষক এডুয়ার্ড মেন্ডি। লিভারপুল তারকা সালাহ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছন তার ক্লাব সতীর্থ মানে পঞ্চম শটে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে দুইবার ফাইনালে পরাজিত সেনেগাল শেষ পর্যন্ত আফ্রিকান সর্বোচ্চ আসরে শিরোপার স্বাদ পেল। অন্যদিকে রেকর্ড অষ্টম শিরোপা অধরাই থেকে গেল মিশরীয়দের। যদিও সালাহ এখনো পর্যন্ত মহাদেশীয় এই শিরোপাটি হাতে তুলতে পারেননি।
ম্যাচ শেষে সেনেগালের কোচ আলিউ সিজে সম্প্রচার কেন্দ্র বিআইন স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘এখানে এটাই প্রমান হয়েছে যে কেউ যদি কঠোর পরিশ্রম করে তবে দিন শেষে পুরস্কার আসবেই। মন থেকে তাকে চাইতে হবে। আমি খুব বেশী আবেগপ্রবন হয়ে পড়েছি। কারন ৬০ বছর ধরে সেনেগালের মানুষ এই শিরোপাটির জন্য অপেক্ষা করেছে।’
ফাইনালে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মিশরীয় গোলরক্ষক আবু গাবাল। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘আমরা সত্যিই খুব হতাশ। কিন্তু এটাই ফুটবল। এখানে কেউ জিতে, কেউ হারবে, এটাই স্বাভাবিক।’
গত ১১টি আসরের ফাইনালে মধ্যে পঞ্চম ম্যাচ হিসেবে গোলশুণ্য ড্র থাকার পর পেনাল্টি শ্যুট আউটে ভাগ্য নির্ধারিত হলো। এর মধ্যে মিশর দুটিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই টুর্ণামেন্টেই আগের দুই ম্যাচে আইভরি কোস্ট ও ক্যামেরুনের সাথে অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত গোলশুন্য ড্র থাকার পর পেনাল্টিতে জয়ী হয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল মিশর।
ফাইনাল ম্যাচটি উপভোগ করতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন ক্যামেরুনের ৮৮ বছর বয়সী রাষ্ট্রপতি পল বিয়া। তার সাথে আরো ছিলেন ফিফা সভাপতি গিয়ান্নি ইনফান্তিনো ও কনফেডারেশন অব আফ্রিকার প্রধান প্যাট্রিস মোটসেপে ও ক্যামেরুন ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক তারকা স্যামুয়েল ইতো।
ইতোকে আফ্রিকার সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে বিবেচনা করা হলেও সাম্প্রতিক সময়ের সালাহ ও মানে জুটি সেই জনপ্রিয়তাকে ছাড়িয়ে যাবার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে। ২০১৯ সালের ফাইনালে আলজেরিয়ার কাছে পরাজয়ের পর থেকেই সেনেগাল শিরোপা জয়ের নেশায় মরিয়া ছিল। ৭ মিনিটে এগিয়ে যাবার সুযোগ পেয়েছিল সেনেগাল। বক্সের ভিতর আকদেলমোনেম দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সারিও সিসকে ফাউল করে বসলে পেনাল্টি উপহার পায় সেনেগাল। কিন্তু মানের পোস্টের মাঝামাঝিতে করা শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন গাবাল।
৪৩ মিনিটে সালাহর শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মেন্ডি। সতীর্থের বাড়ানো পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে সালাহ শট নিলে তা রুখে দেন মেন্ডি। ৫২ মিনিটে মিসরকে আবারো রক্ষা করেন গোলরক্ষক আবু গাবাল। মাঝ মাঠ থেকে গোছাল আক্রমন থেকে ডান দিক থেকে সাদিও মানের নিচু ক্রস গোলমুখে সেনেগালের দুই ফুটবলার মিলেও আবু গাবালকে পরাস্ত করতে পারেনি। এরপর একে পর এক আক্রমণ করেও কাঙ্খিত গোলের দেখা পাচ্ছিলো না সেনেগাল।
নির্ধারিত নব্বই মিনিট গোলশুন্য থাকায় ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে। অতিরিক্ত সময়ের শুরুতে আরো একবার দুর্দান্তভাবে মিশরকে বাঁচান আবু গাবাল। অফসাইড ফাদ ভেঙ্গে মিশরের দুই ডিফেন্ডারকে পিছনে ফেলে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন আহমাদু বাম্বা, কোনাকুনি ভাবে তার নেওয়া শট বাঁ দিকে ঝাপিয়ে ঠেকিয়ে দেন আবু গাবাল। এরপর আহমাদু বাম্বার লাফিয়ে উঠা হেড বা দিকে ঝাপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গাবাল। ১১৪ মিনিটে মিসরের ত্রাতা হয়ে আসেন সেই আবু গাবাল। এবারো আহমাদু বাম্বার নেওয়া বুলেট গতির শট দক্ষতার সঙ্গে প্রতিহত করে দেন এই গোলরক্ষক। অতিরিক্ত সময়েও খেলার ফলাফল সমতায় থাকায় ভাগ্য নির্ধারনের জন্য প্রয়োজন হয় টাই ব্রেকারের।



আর্কাইভ