রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » জিরুর জোড়া গোলে ডার্বি জিতে ১৬ বছরের পুরনো স্বাদ পেল মিলান
জিরুর জোড়া গোলে ডার্বি জিতে ১৬ বছরের পুরনো স্বাদ পেল মিলান
মিলান ডার্বি যেন এসি মিলানের পতনেরও প্রমাণ। শেষ এক দেড় যুগ ধরেই ইউরোপীয় ফুটবলের দৃশ্যপটে নেই এক সময়ের শক্তিধর ইতালিয়ান দলটি। তার প্রমাণ মিলত মিলান ডার্বিতে। ‘হোম’ নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টারকে হারাতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হতো দলটির, অ্যাওয়ে হলে তো কথাই নেই। সেই ইন্টারকেই এবার মিলান হারাল ‘তাদেরই’ মাঠে। অলিভিয়ের জিরুর জোড়া গোলে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে জমিয়ে দিয়েছে শিরোপার লড়াই, পেয়েছে ১৬ বছরের পুরনো স্বাদও।
ইন্টার মিলান আর এসি মিলান, দুই দলই সান সিরোকে ব্যবহার করে নিজেদের ‘হোম’ হিসেবে। তাই মিলান ডার্বিতে কার্যত কোনো ‘অ্যাওয়ে’ দল থাকে না। তবে কাগজে কলমে ‘হোম’ দল কিছু বাড়তি সমর্থক পায় এই ম্যাচে। শনিবার রাতে যেটা পেল ইন্টার।
শুরুটা ভালোই ছিল মিলানের। হাকান চাহলানোগ্লুর কর্নার থেকে ডান পায়ের ভলিতে গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন ইভান পেরিসিচ। তাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণটা শুরুতেই হাতে নেওয়ার আভাস দিচ্ছিল ইন্টার, বিরতিতেও যায় এই ব্যবধান নিয়েই।
তবে বিরতির পরই পরিস্থিতি বদলে দেন মিলান স্ট্রাইকার অলিভিয়ের জিরু। ব্রাহিম ডিয়াজের শট প্রতিহত হওয়ার পর ফিরতি চেষ্টায় বল ইন্টারের জালে জড়িয়ে দেন তিনি। তাতেই মিলান ১-১ সমতা ফেরায় ম্যাচে।
সেই গোলের দুই মিনিট পর, ৭৮ মিনিটে সাবেক আর্সেনাল তারকা ম্যাচটা মিলানের ঝুলিতে পুরে দেন গোল করে। দাভিদ কালাব্রিয়ার পাস থেকে দারুণ এক গোল করে বসেন তিনি।
শেষ মুহূর্তে এসি মিলান অবশ্য লাল কার্ডও দেখেছে। ইন্টারের ড্যানজেল ডামফ্রিসকে কড়া ফাউল করে মার্চিং অর্ডার পান দলটির ডিফেন্ডার থিও হার্নান্দেজ। তবে তাতে মিলানের জয়ে কোনো সমস্যা হয়নি।
নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদেরকে টানা দুটো ‘অ্যাওয়ে’ ম্যাচে মিলান সবশেষ হারিয়েছিল ২০০৫ সালে। এই জয় নিয়ে ভুলতে বসা সে স্বাদ আবারও পেয়েছে দলটি। শনিবার রাতের এই জয়ের আগে লিগে সবশেষ ‘অ্যাওয়ে’ ডার্বি ম্যাচে ২০২০ খেলেছিল দলটি। সে ম্যাচে ইব্রাহিমোভিচের জোড়া গোলে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়েছিল এসি মিলান।
এই জয়ের ফলে সিরি’আ জমিয়ে দিয়েছে দলটি। ইন্টার থেকে এক পয়েন্টের দূরত্বে চলে এসেছে মিলান। ইন্টার অবশ্য এখনো সিরি’আর শীর্ষে আছে। ২৩ ম্যাচ থেকে ৫৩ পয়েন্ট অর্জন করেছে দলটি। এক ম্যাচ বেশি খেলে মিলানের পয়েন্ট ৫২। আর তিনে থাকা ন্যাপোলির অর্জন ২৩ ম্যাচ থেকে ৪৯ পয়েন্ট।