সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | পরিবেশ ও পর্যটন | রংপুর | শিরোনাম » মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে
দেশের সর্ব উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ে গত কয়েক দিন ধরে বেড়েই চলেছে শীতের দাপট। উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমালয়ের হিম বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে এ জেলায় তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। আর তাপমাত্রা ওঠানামা করায় শীতের দাপটে অসহায় হয়ে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও সাধারণ মানুষ।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি শীত মৌসুম ও সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেলের পর থেকে এ জেলার ওপর দিয়ে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে। সঙ্গে ঘন কুয়াশা আচ্ছাদিত থাকে যা স্থায়ী থাকে পরদিন সকাল পর্যন্ত। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কাটিয়ে খানিকটা সূর্যের দেখা মিললেও তেমন উত্তাপ থাকছে না। তবে এ জেলার ওপর দিয়ে সব সময় হিমেল বাতাস বয়ে যাচ্ছে। ফলে কনকনে শীতে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে জেলার গরিব অসহায় শীতার্ত মানুষ। তারা কনকনে শীতে তেমন কাজ করতে পারছে না।
এ ছাড়া কাজের সন্ধ্যানে বের হওয়া কিছু মানুষ কাজ পেলেও অনেককেই কাজ না পেয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। প্রতিবছর শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তাদের ভাগ্যে জুটে না বলে দাবি এসব মানুষদের। অন্যদিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিন দিন শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা হয় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সিপাহীপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহিনুর ইসলামের সঙ্গে, তিনি বলেন, কয়েক দিন ধরে কনকনে শীত অনুভূত হওয়ার কারণে তেমন কাজকর্ম করতে পারছি না। খুব কষ্টে আছি আমরা এই শীতে।
জেলা শহরের ভ্যানচালক আব্দুল জব্বার বলেন, সন্ধ্যা হলে কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে। মানুষজন তেমন বাইরে বের হতে পারে না। ফলে আমরা বেকার সময় পার করছি। কিন্তু শীত করলেও ভ্যান চালাতে হয়। কেউ তো খোঁজ-খবর নেয় না আমাদের।
তেঁতুলিয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, কয়েক দিন ধরে এ জেলায় তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। আজ সকাল ৬টা ও ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ ছাড়া চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এটি।