শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » চরম ভোগান্তির পর অবশেষে ডিসেম্বরে চালু হবে বিআরটি
চরম ভোগান্তির পর অবশেষে ডিসেম্বরে চালু হবে বিআরটি
চলতি মাসে এসে নির্ধারিত লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে থাকলেও আসছে ডিসেম্বরেই বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প (বিআরটি) চালু করতে বদ্ধপরিকর কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, বিমানবন্দর থেকে আজমপুর, চেরাগআলী থেকে শিববাড়ি পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৭০ ভাগের বেশি
এ ছাড়া আজমপুর থেকে চেরাগআলী অংশের অগ্রগতি ৬১ ভাগ। প্রয়োজনে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে হলেও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার কথা বলছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
ঢাকা থেকে গাজীপুর আর জনদুর্ভোগ যেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ভুলের খেসারত এ পথে যাত্রীরা দিচ্ছেন বছরের পর বছর ধরে। তবে বছরখানেক ধরেই কাজে ফিরেছে গতি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি স্থানে প্রশস্ত হয়েছে রাস্তা। দিনরাত এক করে চলছে কাজ।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এয়ারপোর্ট থেকে আজমপুর চেরাগআলী থেকে শিববাড়ি পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটারের কাজের অগ্রগতি ৭০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ ছাড়া আজমপুর থেকে চেরাগআলী অংশের অগ্রগতি ৬০.৭৩ ভাগ। আর এসডি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে আছে ২ ভাগ আর বিবিএ আছে ১৩ ভাগ পিছিয়ে। তবুও লক্ষ্য অটুট চলতি ডিসেম্বর।
বিআরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ১৩ শতাংশ কাজ পিছিয়ে থাকলেও এদের যেহেতু এখন কাজের একটা গতি এসেছে, জায়গাটাও ছোট সেক্ষেত্রে আমরা কভার করতে পারব। আমাদের মূল সমস্যা দুই ঠিকাদারের ফান্ড, এটার সমাধান এখনো হয়নি। আমরা তাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করছি।
সেক্ষেত্রে বাধা হতে পারে বিবিএ অংশ তবে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে কাজ আদয় করে নেওয়া হবে বলে দাবি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের। বলেন, প্রজেক্টের টাকা আমাদের হাতে আছে। নিয়মানুসারে ওদের টাকা দিয়ে কাজ করতে হয়, তারপর ওই বিল পরিশোধ করতে হয়। আমাদের ইচ্ছা আছে তাদের সাহায্য করার।
সংযোগ সড়ক দুটি এক হয়ে গেলে টঙ্গী ব্রিজের একাংশও খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।