বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » মাদক চোরাচালানে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে মিয়ানমার
মাদক চোরাচালানে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে মিয়ানমার
মাদক চোরাচালানে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের। দেশটির সঙ্গে বারবার বৈঠক করেও এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বলছে, ইয়াবার মতো আইসও ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে দেশটি। এদিকে আইসের পর ডিওবির মতো ভয়ংকর মাদক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার কথাও বলছেন তারা
১৯৮২ সালে ড্রাগ অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে দেশে নিষিদ্ধ করা হয় ফেনসিডিল। ফল হয় উল্টো, আশি এবং নব্বইয়ের দশকে স্রোতের মতো ভারত থেকে আসতে থাকে ফেনসিডিলের চালান। ভারতের এনসিবি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে বাংলাদেশ। সীমান্তবর্তী এলাকার ১৪৭টি ফেনসিডিলের কারখানার তালিকা দেওয়া হয় ভারতকে।
গত এক দশকে দেশে প্রায় ২৩ কোটি ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।
মিয়ানমারের সঙ্গে বৈঠক করেও থামানো যাচ্ছে না ইয়াবা ঝড়।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বলছে, দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে মাদক পরিবহনে। আশঙ্কার বিষয় মিয়ানমার এখন আইসের দিকে নজর দিচ্ছে।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, ইয়াবা একটি লাভজনক ব্যবসা। তারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে এ ব্যবসা পরিচালন করে আসছে।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বলছে, এখন পর্যন্ত যত ধরনের মাদক উদ্ধার করা হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে ডাইমিথোক্সিবোমো এমফিটামিন বা ডিওবি। খুলনায় অভিযান চালিয়ে গত বছরের ২২ নভেম্বর দেশে প্রথম এই মাদকটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে।
জানা যায়, চোরাকারবারিরা ডার্ক ওয়েবে বিটকয়েন ব্যবহার করে পোল্যান্ড থেকে কুরিয়ারে নিয়ে এসেছে মাদকটি। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারা এর প্রধান ভোক্তা।
সবশেষ মাদকসংক্রান্ত বোর্ড সভার তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশের কারাগারগুলোতে ৭০ শতাংশ আসামিই মাদকসংক্রান্ত।