শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

N2N Online TV
শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল কুমিল্লা
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল কুমিল্লা
১৫৬ বার পঠিত
শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল কুমিল্লা

---

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের আগের ৭ আসরের মধ্যে দুই বারের চ্যাম্পিয়ন দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এবারও জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করল তারা। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ (শনিবার) সিলেট সানরাইজার্সকে হারিয়েছে কুমিল্লা। তবে এই জয় সহজে ধরা দেয়নি। ৯৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমেও বিপদে পড়ে দলটি। যদিও শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় কুমিল্লা-সিলেট। যেখানে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে একশ রানের গণ্ডিও পাড় করতে পারেনি সিলেট। মাত্র ৯৬ রানে অলআউট হয় অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনের দল। ৯৭ রানে সহজ লক্ষ্য টপকাতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শঙ্কায় পড়ে কুমিল্লা। পরে ৮ উইকেট হারানো দলটি ২ উইকেট এবং ৮ বল হাতে রেখে জয়ের দেখা পায়।

অধিনায়ক ইমরুল অবশ্য ইনিংসের গোড়াপত্তন করেননি আজ। দুই বিদেশি রিক্রুট ফাফ ডু প্লেসি এবং ক্যামেরুন ডেলপোর্ট ওপেন করতে নামেন। তবে উইলোবাজি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে উড়ে আসা দুজন। দলীয় ১৩ রানে মাথায় ব্যক্তিগত ২ রান করে সোহাগ গাজীর হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফাফ। ডেলপোর্ট গাজীর দ্বিতীয় শিকার হন ১৬ রান করে। ১৯ বলের ইনিংসটি সাজান ১টি করে চার-ছয়ের মারে।

তিনে নামা মুমিনুল হকের ইনিংসও ছিল ধীরগতির। মোসাদ্দেক হোসেনকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ধরা পড়েন মুক্তার আলির হাতে। ২০ বল খেলে ১৫ রান করেন তিনি। ইমরুল কায়েস ১০ ও আরিফুল হক ৪ রান করে ফিরে গেলে দলীয় ৫৫ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে শঙ্কা তৈরি হয় কুমিল্লা শিবিরে। পরে করিম জানাত এবং নাহিদুলের ২৭ রানের পার্টনারশিপ দলকে চাপ মুক্ত করে। করিম ১৮ রান করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি।

করিম আউট হওয়ার পর নাহিদুলও ধৈর্য ধরতে পারেননি। নাজমুল ইসলাম অপুর হাফ-ট্রাকার ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন কলিন ইনগ্রামের হাতে। ১৬ বলে সমান ১৬ রান করে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি শহিদুল ইসলামও। নাজমুল ইসলাম অইপুর বলে দুর্দান্ত একটি ক্যাচ নিয়ে শহিদুলকে আউট করেন রবি বোপারা। এতে ৮৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে কুমিল্লা।

শেষদিকে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে টেনে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। শেষ ৩৬ বলে ১৬ রান তুলতে গিয়ে মাত্র ৮ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সিলেটের হয়ে অপু ৩, মোসাদ্দেক এবং সোহাগ গাজী ২টি করে উইকেট নেন।

এর আগে ম্যাচের শুরুতে ওপেন করতে নেমে এনামুল হক বিজয় ফেরেন দলীয় ৭ রানে। ব্যক্তিগত ৩ রান করে নাহিদুলের বলে আউট হন তিনি। তিনে নেমে ব্যর্থ কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের আলো ছাড়ানো মোহাম্মদ মিঠুন। এদিন তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৫ রান। অফ স্পিনার নাহিদুলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। তার আগে সাজ ঘরের পথ ধরেন ইংগ্রাম। শহিদুলের করা শর্ট বল পুল করতে গিয়ে বিপত্তি বাঁধান। ফেরেন ২০ রানে।

অধিনায়ক মোসাদ্দেক ৩, অলক কাপালি ৬, মুক্তার আলি রানের খাতা খুলতে না পারলে বড় রানের স্বপ্ন ফিরে হয়ে যায় সিলেটের। মাঝে রবি বোপারার ১৭ এবং শেষদিকে সোহাগ গাজীর ১৯ বলে ১২ এবং কেসরিক উইলিয়াম করেন ৯ রান। তবুও একশ রানের কোটা ছুঁতে পারেনি সিলেট। গুঁটিয়ে যায় মাত্র ৯৬ রানে। কুমিল্লার হয়ে নাহিদুল, করিম জানাত এবং মুস্তাফিজ সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন।



আর্কাইভ