শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

N2N Online TV
শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » বাংলাদেশ সরকারকে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর অভিনন্দন
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » বাংলাদেশ সরকারকে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর অভিনন্দন
৩৯১ বার পঠিত
শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশ সরকারকে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর অভিনন্দন

---

সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং এনজিওগুলোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা ও প্রযোজক লিওনার্দো ভিলহেল্ম ডিক্যাপ্রিও।

শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় নিজের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে এক বার্তায় তিনি এ অভিনন্দন জানান।

টুইটবার্তায় ডিক্যাপ্রিও লিখেছেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের চারপাশে নতুন সামুদ্রিক সুরক্ষিত অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং এনজিওগুলোকে অভিনন্দন, যা জীববৈচিত্র্যের একটি অসাধারণ পরিমণ্ডলকে রক্ষা করবে এবং বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল প্রাচীরের জন্য প্রাকৃতিক আবাসস্থল জোগান দেবে।

বহু বছর ধরেই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে সোচ্চার ডিক্যাপ্রিও। সেই লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন প্রচার চালিয়ে আসছেন। পরিবেশবাদী ডিক্যাপ্রিও পরিবেশ রক্ষায় গড়ে তুলেছেন আর্থ অ্যালায়েন্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

টুইটে সেন্টমার্টিনের একটি দৃষ্টিনন্দন ছবি টুইটে শেয়ার করেন ডিক্যাপ্রিও। ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির সৌজন্যে এটি পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
সমৃদ্ধ ‘জীববৈচিত্র্যের আধার’ হিসেবে বিবেচিত দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিনের প্রবালগুলো রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে।

গত চার দশকে এ দ্বীপ উপকূল থেকে হারিয়ে গেছে হাজার হাজার টন প্রবাল ও পাথর। এ কারণে ক্ষয়ের শিকার হয়ে উপকূলের বিস্তীর্ণ ভূমি সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, বিশেষ করে দ্বীপের উত্তর উপকূলে সৃষ্টি হয়েছে ভাঙনের। মনুষ্যঘটিত বেশ কয়েকটি প্রভাবে দ্বীপটি পরিবেশগত এক ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাবের শিকার হয়েছে।
এ দ্বীপে ৬৬ প্রজাতির প্রবাল, ২০০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৫ প্রজাতির দুর্লভ কাছিম, ১৫ প্রজাতির সাপ, ১৮৭ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক, ১২০ প্রজাতির পাখি (দেশি ও পরিযায়ী মিলিয়ে), ৫ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ৫ প্রজাতির টিকটিকি-গিরগিটি, ১৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ১৫৩ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল রয়েছে। রয়েছে পাথুরে শিলা ও হরেকরকম শৈবালের রাজ্য।

এছাড়া অসংখ্য নারিকেলগাছ ও কেয়াবনসহ নানা ধরনের উদ্ভিদ রয়েছে। এসব কারণে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে বলা হয়ে থাকে বিশ্বের দুর্লভতম স্থানগুলোর একটি। বিশেষ করে এত স্বল্প আয়তনের আর কোনো স্থানে এমন নৈসর্গিক দৃশ্য ও বহুল প্রজাতির উদ্ভিদ বা জীব প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যায় না।

বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য সেন্টমার্টিন দ্বীপ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের প্রায় ১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে ‘সেন্টমার্টিন সামুদ্রিক সুরক্ষিত অঞ্চল’ ঘোষণা করেছে। এর ফলে জাহাজের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল, অতিরিক্ত মাছ ধরা, বর্জ্য ও রাসায়নিক পদার্থের ডাম্পিং এবং প্রবাল প্রাচীর ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর সবকিছু রোধ করা হবে।



আর্কাইভ