শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » র্যাব ইস্যুতে ১২ মানবাধিকার সংস্থার চিঠির উত্তর দেয়নি জাতিসংঘ
র্যাব ইস্যুতে ১২ মানবাধিকার সংস্থার চিঠির উত্তর দেয়নি জাতিসংঘ
র্যাব সদস্যদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কাজের সুযোগ না দিতে ১২ মানবাধিকার সংস্থার পাঠানোর চিঠির কোনো উত্তর দেয়নি জাতিসংঘ। চিঠি দেওয়ার পর আড়াই মাস পার হয়ে গেলেও কোনো সাড়া মেলেনি। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ র্যাবের ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিলেও পরে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ওই সংস্থাটির ব্যাপক প্রশংসা করে। এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, পুরো ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
গত ১০ ডিসেম্বর র্যাবের ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। এরপর বিভিন্ন মহল দায়ী করে আসছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও লবি নিয়োগের বিষয়টিকে। তবে এর এক সপ্তাহের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট র্যাবের প্রশংসা করলে আলোচনায় ভাটা পড়ে।
নতুন করে জানা গেল, গত ৮ নভেম্বর র্যাব সদস্যদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কাজের সুযোগ না দিতে জাতিসংঘকে চিঠি পাঠায় ১২ মানবাধিকার সংস্থা। যার মধ্যে রয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, এনফ্রেল ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংস্থা। এসব সংস্থার বিরুদ্ধে বরাবরই বাংলাদেশবিরোধী অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধে বাংলাদেশকে সুপারিশ করেছিল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি। এ ছাড়া ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৩২ জন প্রতিনিধি পাঠানোর কথা জানালেও ছাড়পত্র ও ভিসা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হতাশা ও অসন্তোষ ব্যক্ত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের তোষামোদি ও ফিলিস্তিন-কাশ্মীরের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নিশ্চুপ থাকার অভিযোগ তো রয়েছেই, এর পাশাপাশি আর্থিক অনিয়ম ও কর্মীদের প্রতি অমানবিক হওয়ার কথাও শোনা যায় এসব সংস্থার বিরুদ্ধে। ২০২০ সালে অর্থনৈতিক দুর্নীতির অভিযোগে ভারতে অ্যামনেস্টির ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়।
র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে দাবি করে বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) ডিসি সম্মেলনে অংশ নেওয়া শেষে সাংবাদিকদের তেমন ইঙ্গিতই দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, যারা র্যাব তৈরি করেছিলেন, এখন তারাই আবার অপছন্দ করছেন। র্যাবের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করা হচ্ছে। র্যাব যে ভালো কাজগুলো করছে, সেগুলোর প্রশংসা তারা করছেন না। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, এমন কোনো দেশ নেই, যেখানে এনকাউন্টার বা এ ধরনের ঘটনা ঘটে না। পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে যদি কেউ অস্ত্র তুলে কথা বলে, তখন তো তারা নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকবে না।
তবে ১২ মানবাধিকার সংস্থার চিঠি দেওয়ার পর আড়াই মাস পার হলেও এখনো র্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা অপারেশনস বিভাগ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো সাড়া মেলেনি।