সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » পর্যটন করপোরেশনের মূলধন বাড়াতে সংসদে বিল উত্থাপন
পর্যটন করপোরেশনের মূলধন বাড়াতে সংসদে বিল উত্থাপন
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে বিদ্যমান আইন সংশোধন করতে জাতীয় সংসদে নতুন বিল উত্থাপন করা হয়েছে।
আজ সোমবার ‘বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২২’ উত্থাপন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে বিলটি উত্থাপনের বিরোধীতা করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. ফখরুল ইমাম। তিনি বলেন, বিদ্যমান আইনে ন্যূনতম সময়সীমা থাকলেও, খসড়া আইনে সেটা নেই। এ ছাড়া আরো কয়েকটি বিষয়ে আপত্তি তোলেন তিনি। তবে তার সেই প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। এরপর বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে পর্যটন করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ১৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। আর পরিশোধিত মূলধন পাঁচ লাখ থেকে ৪০০ কোটি টাকা হচ্ছে। এ ছাড়া পর্যটন করপোরেশন ডিউটি ফ্রি দোকান পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করতে পারবে, এমন বিধান রাখা হয়েছে।
খসড়া আইনে পর্যটকের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে বলা হয়েছে, কেউ নিজের ঘর থেকে ভ্রমণ বা শ্রান্তি বিনোদনের জন্য ২৪ ঘণ্টার বেশি কিন্তু ছয় মাসের কম সময়ে আরেক জায়গায় থাকবে। এই সময় এক বছর নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে চাকরির জন্য থাকলে তাকে পর্যটক হিসেবে ধরা হবে না।
বিদ্যমান আইনে করপোরেশন বোর্ডে সর্বোচ্চ চার জন সদস্য থাকবে বলে বিধান আছে। নতুন খসড়া আইনে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১১ জন করা হয়েছে। বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন মন্ত্রণালয়ের সচিব।
বিলটি উত্থাপনকালে বেসামারিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প বিকাশের মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আয় বৃদ্ধি এবং পর্যটন করপোরেশনের পরিধি বাড়ানোর জন্য আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে। এ ছাড়া এই আইনের আওতায় পর্যটন করপোরেশন পরিচালনা করতে একটি বিধিমালা করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, আইনটি সংসদের অনুমোদন পেলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও আয় বৃদ্ধিসহ কাজের পরিধি বিস্তৃত হবে। পর্যটন শিল্প বিকাশের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে। পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।