রবিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | নারায়ণগঞ্জ | নারায়ণগঞ্জ সদর | শিরোনাম » ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৩০ শতাংশ : জেলা প্রশাসক
১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৩০ শতাংশ : জেলা প্রশাসক
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত (দুপুর ১২টা) পর্যন্ত ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনের পর তিনি সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীদের এজেন্ট আছে। নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি।’
আমাদের প্রত্যেক সুশৃঙ্খলভাবে এসে ভোট দিতে পারবে এবং ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত এই শান্তিপূর্ণ অবস্থানটি বজায় থাকবে।
ইভিএমে ধীরগতিতে ভোট হচ্ছে বলে অনেকের অভিযোগের প্রশ্নে জেলা প্রশাসক বলেন, বৃদ্ধ এবং স্বল্প শিক্ষিতদের ক্ষেত্রে ইভিএমে ভোট নিতে কিছুটা ধীরগতি হচ্ছে। যারা ইভিএম সম্পর্কে জানেন এবং কিছুটা আইসিটি জ্ঞান আছে তাদের ক্ষেত্রে দ্রুত ভোট নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তবে সব কিছু মিলিয়ে আমরা বড় ধরনের কোনো সমস্যা পাইনি।
রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু নাসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম, যা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবার প্রতিটি কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।
সকালে নগরীর বিভিন্ন ঘুরে দেখা যায়, নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শীতের কুয়াশা উপেক্ষা করে ভোটাররা নিজ নিজ কেন্দ্রে গিয়ে উপস্থিত হন৷ কোনো ঝামেলা ছাড়াই ভোট দিতে পেরেছেন বলে জানান বেশ কয়েকজন ভোটার।
২০১৬ সালে নাসিকে মোট ভোটার ছিল চার লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। সে অনুযায়ী নতুন ভোটার ৪২ হাজার ৯৩০ জন। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি কেন্দ্রের এক হাজার ৩৩৩ ভোটকক্ষে চলবে ভোটগ্রহণ। এ জন্য নারায়ণগঞ্জে দুই হাজার ৯১২টি ইভিএম মেশিন আনা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রয়োজনের তুলনায় দেড়গুণ ইভিএম রাখা হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ১৯২টি কেন্দ্রের ৩০টি কেন্দ্র অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ছাড়া ২৭টি ওয়ার্ডের আটটি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, সব কেন্দ্রকেই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় রেখে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে‘ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে পাঁচজন অংশগ্রহণ করেছেন। তারা হলেন- নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাসুম বিল্লাহ, দেয়ালঘড়ি প্রতীকে খেলাফত মজলিশের এবিএম সিরাজুল মামুন, বটগাছ প্রতীকে খেলাফত আন্দোলনের জসিম উদ্দিন, হাতঘড়ি প্রতীকে কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস। বাকি দু’জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তাদের মধ্যে বিএনপি থেকে অব্যাহতি পাওয়া তৈমূর আলম খন্দকার লড়ছেন হাতি প্রতীকে। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম বাবু লড়ছেন ঘোড়া প্রতীকে।
সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৩৪ জন। কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন, বাসদ, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশগ্রহণ করেছেন। মোট ১৮৯ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে একজন মেয়র, ৯ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর এবং ২৭টি ওয়ার্ডের জন্য একজন করে সাধারণ কাউন্সিলর বেছে নেবেন ভোটাররা।