শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | বিনোদন | শিরোনাম » ২৫০ বছর আগের গল্পে ‘জিন্দাবাহার’
২৫০ বছর আগের গল্পে ‘জিন্দাবাহার’
২৫০ বছর আগের গল্পে নাটক রচনা করেছেন অভিনেতা ও নির্দেশক মামুনুর রশীদ। বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) জন্য নাটকটি লিখেছেন তিনি। প্রযোজনা ও নির্দেশনায় ফজলে আজিম জুয়েল।
৫২ পর্বের ধারাবাহিক এ নাটকটি একসঙ্গে দেখা মিলবে জনপ্রিয় সব তারকাদের। অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, লুৎফর রহমান জর্জ, আজাদ আবুল কালাম, আহমেদ রুবেল, অনন্ত হীরা, শতাব্দী ওয়াদুদ, শাহ আলম দুলাল, সমু চৌধুরী, শামীম ভিস্তি, শ্যামল জাকারিয়া, রোজী সিদ্দিকী, মুনিরা বেগম মেমী, নাজনীন চুমকি, শর্মীমালা, নাইরুজ সিফাত, নিকিতা নন্দিনী, আলিফ চৌধুরী, সাদমান প্রত্যয়, ইউসুফ রাসেল, শাকিলসহ আরও অনেকে।
নাটকটি প্রসঙ্গে মামুনুর রশীদ বলেন, ঢাকা শহরটা খুব অভাগিনী। কয়েকবার রাজধানী পরিবর্তিত হয়েছে। ঢাকার দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে গবেষণা হলেও সেভাবে কোনো ফিকশন নির্মিত হয়নি। একসময় জিনজিরা প্রাসাদও ঝলমলে ছিল। পরবর্তীকালে পরিত্যক্ত হয়ে যায়। রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তরিত হলে ঢাকাও একসময় পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। তখন ঢাকার অবস্থা কেমন ছিল? এসবেরই প্রতিচ্ছবি আছে ‘জিন্দাবাহার’ নাটকে।
নির্মাতা ফজলে আজিম জুয়েল জানান, ২০০ বা ৩০০ বছর আগের ইতিহাস নিয়ে বাংলা নাটক কিংবা টেলিভিশন চ্যানেলে সেভাবে কাজ হয়নি। সে সময়ের ঢাকা আমাদের কাছে অনেকটাই অজানা। দীর্ঘ এই ধারাবাহিকের মধ্য দিয়ে এ সময়ের দর্শকরা অষ্টাদশ শতাব্দীর ঢাকাকে জানতে পারবে। শেষ নবাবের মৃত্যুর পর আট বছর কারাবন্দি ছিলেন নবাবের আপনজনরা। আমরা এই আট বছরের গল্পটাই দেখাব।
এই ধারাবাহিকে দর্শকরা কী নতুনত্ব পাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নাটকের সব কাজই হয়েছে ইনডোরে। আড়াইশ’ বছর আগের এই গল্পটা দেখাতে গিয়ে আমরা ডিফরেন্ট লাইটিং প্যাটার্ন, দুর্দান্ত সেট ডিজাইন ও ভিএফএক্স প্রযুক্তির ব্যবহার করেছি। আমাদের টেলিভিশন নাটকে এটার ব্যবহার নেই বললেই চলে। ফোর-কে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই নাটকটি সিনেমাটিকভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। সবমিলিয়ে দর্শকরা ভালো একটা কাজ উপভোগ করতে পারবে।’
রোববার (১৬ জানুয়ারি) থেকে প্রচার শুরু হচ্ছে ‘জিন্দাবাহার’। সপ্তাহের প্রতি রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় বিটিভিতে প্রচার হবে নাটকটি।