বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » ক্যাপ্টেন নওশাদের জানাজা দুপুরে, দাফন বনানীতে
ক্যাপ্টেন নওশাদের জানাজা দুপুরে, দাফন বনানীতে
দেশে আনা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইউমের জানাজা নামাজ আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বাদ জোহর তার কর্মস্থল বলাকায় অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
আজ সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে কাতারের দোহা থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে (বিজি-০২৬) ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহ ঢাকায় আনা হয়।
ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছলে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ও সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমানের এমডি ও সিইও ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালসহ বিমান ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
গত ২৭ আগস্ট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ওমানের মাসকাট থেকে ঢাকায় ফেরার সময় মধ্য আকাশে হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন তিনি। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বিমানের সেকেন্ড পাইলট তাৎক্ষণিকভাবে নাগপুরে জরুরিভিত্তিতে বিমানটি অবতরণ করান। বিমানের সিডিউল ফ্লাইট ‘বিজি ০২২’ ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে। ওই ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী ছিলেন।
ফ্লাইটটি অবতরণের পর ক্যাপ্টেন নওশাদকে নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দুই দিন চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে ২৯ আগস্ট তাকে হাসপাতালের সার্জিক্যাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এসআইসিইউ) কোমায় নেওয়া হয়। সেখানে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। হার্ট অ্যাটাকের পর তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় বলে জানিয়েছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তবে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ৩০ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে না ফেরার দেশে চলে যান ক্যাপ্টেন নওশাদ।
এটাই ক্যাপ্টেন নওশাদের প্রথম সলফতা নয় এর আগেও ২০১৬ সালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আরেকটি দুর্ঘটনার হাত থেকে ১৪৯ যাত্রী আর সাত ক্রু’র জীবন বাঁচিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ।
তার এই দুঃসাহসিকার কারণ ২০১৭ সালে ক্যাপ্টেন নওশাদকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রশংসাপত্র পাঠায় আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্যাপ্টেন রন অ্যাবেল।