শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

N2N Online TV
মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ৭০ হাজার টন ধান উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ৭০ হাজার টন ধান উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা
৪৬৪ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

৭০ হাজার টন ধান উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা

---

সড়ক উন্নয়ন কাজে সেচ প্রকল্পের পুকুর (কুলিং রিজার্ভার) ও নালা ভরাট হয়ে ৭০ হাজার টন ধান উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেচের পানির স্বাভাবিক সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ শঙ্কা দেখা দেয়। এতে আবাদ করা যাবে না ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৩৪ হাজার কৃষক।

পুকুর ও নালা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে চলতি বোরো মৌসুমে সেচ ব্যবস্থা চালু করতে দাবি জানানো হয়েছে। ভুক্তভোগী কৃষকদের পক্ষে এ সংক্রান্ত একটি দাবি মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এতে ১৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন এ সময় সেচ নিয়ে সমস্যার কথা শুনেন। তবে চলতি মৌসুমে সেচ কাজে কোনো ধরণের বিঘ্ন ঘটবে না উল্লেখ করে তিনি জানান, নির্বিঘ্নে কৃষি কাজ করতে সেচের পানির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, আশুগঞ্জ, সরাইল ও নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে সেচের জন্য ‘আশুগঞ্জ-পলাশ অ্যাগ্রো ইরিগেশন’ (সবুজ প্রকল্প) প্রকল্পের পানি ব্যবহার করা হয়। সাধারনভাবে ভুগর্ভস্থ পানি তুলে একর প্রতি ছয়-সাত হাজার টাকা জ্বালানি খরচের বিপরীতে ওই প্রকল্প থেকে পানি দিতে খরচ হয় এক থেকে দুই হাজার টাকা। যে কারণে সাশ্রয়ী এ প্রকল্পের উপর নির্ভর কৃষকরা।

ভুক্তভোগিরা জানান, ২০২০ সালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উন্নয়নের জন্য তাদের কুলিং রিজার্ভার পুকুরটির (বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবহৃত পানি যেখানে রিজার্ভ থাকতো) আংশিক অংশ ভরাট করে ফেলে। এরপর থেকেই মূলত সেচের সংকট দেখা দেয়। গত বছর থেকে আশুগঞ্জ-আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন কাজ শুরু হলে প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত প্রায় ১১টি কিলোমিটার নালার বিভিন্ন অংশ ভরাট হয়ে যায়। এতে সেচ সংকট আরো ঘনিভূত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সবুজ প্রকল্প রক্ষা কমিটির আহবায়ক হোসাইন আহমেদ তফসির জানান, এ নিয়ে কৃষকরা আন্দোলনে নামলে প্রকল্পের জন্য স্থায়ী কাঠামো নির্মাণ করা হবে বলেও আশ্বস্থ করা হয়। কিন্তু চলতি বোরো মৌসুমেও সেটি না হওয়ায় কৃষকরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন।



আর্কাইভ