শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

N2N Online TV
সোমবার, ৩ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » বাংলাদেশের সোনালি দিন কাটল ব্যক্তিগত আক্ষেপে
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » বাংলাদেশের সোনালি দিন কাটল ব্যক্তিগত আক্ষেপে
৪৭৩ বার পঠিত
সোমবার, ৩ জানুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশের সোনালি দিন কাটল ব্যক্তিগত আক্ষেপে

---

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের নামে লেখা হবে কিনা সেটির জন্য এখনো অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে পাঁচদিনের ম্যাচের প্রথম তিনদিন লেখা হলো টাইগারদের জয়গান। শেষ দুদিন তো কাটল একেবারে সোনালি দিনের মতো। যেখানে নিউজিল্যান্ডকে তাদের ঘরের মাঠে শাসন করে স্কোর বোর্ডে লিড তুলে নিয়েছে অধিনায়ক মুমিনুল হকের দল।

বাংলাদেশের এমন স্বপ্নীল দিনে মিশে থাকল ব্যক্তিগত আক্ষেপ। আগের দিন ফিফটিকে তিন অঙ্কে রূপ দিতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। আজ (সোমবার) ম্যাচের তৃতীয় দিনে সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও তিন অঙ্ক ছুতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। মুমিনুল হক আর লিটন দাস আউট হয়েছেন ৮০ রানের গণ্ডি পার করে।

তবে দিন শেষে স্কোর দিচ্ছে স্বস্তির সুবাতাস। দিনের খেলা শেষে ৬ উইকেট হারানো টাইগারদের সংগ্রহ ৪০১ রান। এতে কিউইদের করা প্রথম ইনিংসের ৩২৮ রান টপকে ৭৩ রানের লিড লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। এই লিড আরো বাড়িয়ে নিতে ইয়াসির আলি রাব্বি ১১ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ২০ রান নিয়ে মঙ্গলবার চতুর্থ দিন শুরু করবেন।

নিউজিল্যান্ডের থেকে ১৫৩ রানে পিছিয়ে হাতে ৮ উইকেট নিয়ে তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ৭০ রানে ব্যাট করতে নামা জয় আজ দ্বিতীয়বার ব্যাট উঁচিয়ে ধরার সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করেন। প্রতিশ্রুতিশীল ইনিংসের সমাপ্তি টানলেন আর মাত্র ৮ রান যোগ করে। ওয়েগনারের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল কাট করতে গিয়েছিলেন। শরীর বলের পজিশনে গেলেও শট ছিল অনিয়ন্ত্রিত। টাইমিংয়ে গড়বড় হয়। ফলে গালিতে ক্যাচ যায় অতি সহজেই। নিকোলস সেই ক্যাচ নিয়ে ওয়াগনারকে তৃতীয় উইকেটের স্বাদ দেন।

এরপর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মুমিনুল আর মুশফিক। যদিও স্কোর বোর্ডে খুব বেশি রান এনে দিতে পারেনি এ জুটি। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বোলিং করছিলেন বোল্ট। নিজের পরিকল্পনাতে সফল বাঁহাতি পেসার। স্টাম্পের ওপর ফুলার লেন্থ বলের সঙ্গে হাল্কা সুইং। তাতে বল মিস করে বোল্ড মুশফিক। মুশফিক ৫৩ বল খেলে ১২ রান করে আউট হলে ভাঙে ১৯ রানের পার্টনারশিপ। এই রান করতে দুজন বল খেলেন ১১০টি।

পরে লিটন দাসকে নিয়ে ১৫৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন মুমিনুল। এর ফাঁকে দুজন অর্ধশত যেমন ছুঁয়েছেন, তেমনি দলকে এনে দিয়েছেন লিড। তবে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে পারলেন না মুমিনুল-লিটন। নিজের ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে মুমিনুল ফিরলেন ৮৮ রানে। লিটন আউট হন ৮৬ রান করে। ট্রেন্ট বোল্টের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে আউট হন মুমিনুল। ফেরার আগে ২৪৪ বলের ইনিংসটি সাজান ১২টি চারের মারে। মুমিনুলের আউট হলে পঞ্চম উইকেটে ভাঙে ১৫৮ রানের পার্টনারশিপ।

শতকের দিকে ছুটেছিলেন লিটন। সতীর্থের বিদায়ের পর সাজঘরে তিনিও। বোল্টের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। আউট হওয়ার আগে ১৭৭ বলের ইনিংসে খেলেন ১০টি চারের মার।

পরে দলকে আর কোন বিপদে পড়তে দেননি রাব্বি আর মিরাজ। দিনের খেলা শেষে ৬ উইকেট হারানো টাইগারদের সংগ্রহ ৪০১ রান। এতে কিউইদের করা প্রথম ইনিংসের ৩২৮ রান টপকে ৭৩ রানের লিড লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। এই লিড আরো বাড়িয়ে নিতে ইয়াসির ১১ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ২০ রান নিয়ে মঙ্গলবার চতুর্থ দিন শুরু করবেন।



আর্কাইভ