শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » স্বস্তি নিয়ে দিন শেষ টাইগারদের
স্বস্তি নিয়ে দিন শেষ টাইগারদের
দিনের খেলা শেষ হতে বাকি ছিল আরও দুই ওভারের বেশি। তখনই এবাদতের বলে ব্যাটের ভেতরের কোণায় লেগে বোল্ড হন টম ব্লানডেল। তাতেই দিনের খেলা সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। ফলে ২.৩ ওভার বাকি রেখেই দিন শেষ করল টাইগাররা। প্রথম দিন শেষে কিউইদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৫৮ রান। প্রথম দিনেই কিউইদের হয়ে শতক হাঁকিয়েছেন ডেভন কনওয়ে। টাইগারদের হয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন শরীফুল ইসলাম এবং একটি করে উইকেট পেয়েছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক এবং এবাদত হোসেন।
এর আগে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক। সাত ব্যাটসম্যানের সঙ্গে তিন পেসার ও একমাত্র স্পিনার নিয়ে সাজানো হয়েছে বাংলাদেশের একাদশ। সবাইকে অবাক করে দলে জায়গা হয় নি বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলের।
বিস্ময় ছিল তাইজুলকে বাদ দিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজকে খেলানোর সিদ্ধান্তটি। দেশের বাইরে এই অফ স্পিনার পরিসংখ্যান একেবারেই তার পক্ষে নয়। তবুও কিউইদের প্রথম ৫ ব্যাটসম্যান বাঁহাতি হওয়ায় দৌড় থেকে ছিটকে যান বাঁহাতি তাইজুল। প্রথম দিন শেষে মিরাজ ২৭ ওভার বল করে দিয়েছেন ৭২ রান। উইকেটের দেখা পাননি।
এদিকে প্রথম টেস্টের প্রথম সেশনেই দারুণ বোলিং করতে থাকে বাংলাদেশের পেসারার। কিউইদের নিজের খেলাটা খেলতে দিচ্ছিল না বাংলাদেশের তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন। তিন পেসারের বলে গতি না থাকলেও লাইন এবং লেন্থ ছিল দুর্দান্ত। যার সুবাদে প্রথম সেশনের চতুর্থ ওভারে কিউই অধিনায়ককে তুলে নেন পেসার শরীফুল ইসলাম। এরপর তিন নম্বরে নেমে ডেভন কনওয়েকে নিয়ে দলের হাল ধরেন উইল ইয়াং।
তবে প্রথম সেশন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বোলিংয়ের সেই ধার ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। প্রথম সেশনে আর কোনো উইকেটের দেখা পায়নি কোনো বোলার। প্রথম সেশন শেষে মধ্যাহ্নভোজের আগে ১ উইকেট হারিয়ে কিউইদের সংগ্রহ ছিল ৬৬ রান। কনওয়ে ৩৬ এবং ইয়াং ২৭ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় কিউইরা। সফরকারীদের পক্ষে একমাত্র সাফল্যটি আসে শরীফুলের হাত ধরে।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর প্রথম সেশনের প্রথম ঘণ্টার মতো বোলিংয়ে দাপট দেখাতে পারেনি কোনো বোলার। টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান এমনভাবেই খেলছিল যেন সারা দিন কাটিয়ে দিতে পারবে। ফলে দ্বিতীয় উইকেটে শত রানের জুটিও গড়ে ফেলেন ইয়াং এবং কনওয়ে। তবে শত রানের পর সেই জুটি বেশিক্ষণ টেকেনি। সৌভাগ্যজনক রান আউটে ভেঙেছে ১৩৮ রানের জুটি, ফিফটি হাঁকিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ডানহাতি ওপেনার ইয়ং।
এরপর শেষ বিকেলে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশের বোলাররা। নিয়মিত বোলারার যখন উইকেটের দেখা পাচ্ছিল না, তখনই বোলিংয়ে আসেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। আর এসেই তুলে নেন শতক হাঁকানো কনওয়েকে। এরপর নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন শরীফুল ইসলাম। বুড়ো রস টেইলরকে তুলে নেন তিনি। আর দিনের শেষ বলে টম ব্লানডেলকে বোল্ড করেন এবাদত হোসেন।